নারীঘটিত ইস্যুতে আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছেন থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। রয়াল কনসোর্ট বা রাজ সেবিকার নিয়োগ দিয়ে এবার তুললেন সমালোচনার ঝড়। শত বছরের রীতি ভেঙ্গে এবার নিয়োগ দিয়েছেন রয়াল কনসোর্ট বা রাজ সেবিকার।
রানী কিংবা স্ত্রী নয় বরং বিশেষ সঙ্গিনীর মর্যাদা পাবেন সিনিনাত ওংভাজিরাপাকদি নামের এই নারী। থাই রাজকীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি প্রকাশ করার পর বিস্ময় জানান থাইল্যান্ডের সাধারণ মানুষ, সেই সাথে ওঠে সমালোচনার ঝড়ও।
গেল মাসে নিজের জন্মদিনে রাজ সেবিকার নিয়োগ দেন রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। আর সেই সেবিকা সিনিনাত ওংভাজিরাপাকদি’র এসব ছবি সোমবার প্রকাশিত হয় থাই রাজপরিবারের ওয়েবসাইটে।
এ ঘটনায় বিস্মিত হন দেশটির সাধারণ মানুষ। তবে রাজপরিবারের সমালোচনায় ১৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান থাকায় মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন অনেকেই।
৩৪ বছর বয়েসি সিনিনাত ওংভাজিরাপাকদি ছিলেন থাই রাজকীয় সেনাবাহিনীর সাবেক নার্স। কাজ করেছেন রাজার দেহরক্ষি দলেও। সবশেষ পেয়েছেন মেজর জেনারলে পদবীও।
দেশটির জনগণ বলছেন, রাজপরিবারের সাথে সংশ্লিষ্ঠ একজন ব্যক্তির এ ধরণের আপত্তিকর পোশাকের ছবি প্রকাশ কোনোভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।
মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে মহা ভাজিরালংকর্নের অভিষেক হয় রাজা হিসেবে। তার কয়েকদিন আগে চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে সুথিদা ভাজিরালংকর্ণকে বিয়ে করে আলোচনার ঝড় তোলেন। ৪১ বছর বয়েসি সুথিদা ছিলেন, রাজার দেহরক্ষি বাহিনীর প্রধান। আর এবার রীতি ভেঙ্গে নিয়োগ দিলেন রাজ সেবিকা।
Leave a reply