পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার চাটমোহর উপজেলার কাঠেঙ্গা গ্রামে গোপনে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বাল্যবিয়ের চেষ্টাকালে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়। অভিযানে মেয়ের বাবাকে জরিমানা এবং বর ও তার বাবাকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কাটেঙ্গা গ্রামে বিয়ে বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ সাজা দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকতেখারুল ইসলাম। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের বরুরিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের বর খাইরুল ইসলাম (২২), তার বাবা মোস্তফা সরদার ও কনের বাবা মো. জামাল প্রামাণিক।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কাটেঙ্গা উত্তরপাড়া গ্রামের জামাল প্রামাণিকের মেয়ে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া জুঁই খাতুনের সাথে একই উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের বরুরিয়া গ্রামের মোস্তফা সরদারের ছেলে দিনমজুর খাইরুল ইসলামের সাথে বিয়ের দিন ধার্য করেন উভয় পরিবারের লোকজন। সেই মোতাবেক সকাল থেকেই কনের বাড়িতে চলছিল নানা অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় বরকে নিয়ে বরযাত্রীরা কনের বাড়িতে হাজির হয়। খাওয়া-দাওয়া পর্ব শুরু হওয়ার সময় বাল্য বিয়ে হচ্ছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে বিয়ে বাড়িতে পুলিশ নিয়ে হাজির হন এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকতেখারুল ইসলাম।
এরপর জিজ্ঞাসাবাদে বাল্যবিয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বিয়ের বর খায়রুল ইসলামকে ৩ মাস, বর এর বাবা মোস্তফা সরদারকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং মেয়ের বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের দণ্ডাদেশ প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে জরিমানার টাকা দিয়ে মুক্ত হন মেয়ের বাবা। এছাড়া বয়স না হওয়া পর্যন্ত বাল্যবিয়ে দেবে না মর্মে কনের অভিভাবকদের কাছ থেকে একটি মুচলেকা নেয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাটমোহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত বাবা-ছেলেকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের দু’জনকে পাবনা জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।
Leave a reply