ভারতের মহাকাশ যান চন্দ্রযান-২ চাঁদের অবতরণের আগমুহূর্তে নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। এটি নিয়ে যখন আফসোসে পুড়ছে ভারতের বিজ্ঞানীরা তখন কাটা ঘায়ে যেন নুনের ছিটা দিলেন পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ফাওয়াদ হুসেইন। চন্দ্রযান-২ কে খেলনার সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেছেন, ‘চাঁদের বদলে মুম্বাইয়ে নেমে পড়েছে খেলনাটি।’
মিশন চন্দ্রযান ২-এর শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ হলেও ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীসহ দেশটির অধিকাংশ মানুষ মনে করছেন, ভারত পুরোপুরি ব্যর্থ নয় বরং সফলতাই বেশি। অথচ ফাওয়াদ কটাক্ষ করে লিখেছেন,’যেটি করতে পারো না, সেটা করারই দরকার নেই, প্রিয় এন্ডিয়া (!)।’ ভারতের নামের বানানও যেন ভুল ভাবে উচ্চারণ করে মজা নিলেন পাক-মন্ত্রী।
So ja Bhai moon ki bajaye Mumbai mein utar giya khilona #IndiaFailed https://t.co/RPsKXhCFCM
— Ch Fawad Hussain (@fawadchaudhry) September 6, 2019
পাকিস্তানের মন্ত্রীর টুইটের নিচের অনেকেই মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ লিখেছেন, চন্দ্রযান-২ ফাওয়াদ চৌধুরীকে সারা রাত ঘুমাতে দেয়নি।’ কেউ কেউ এ কটাক্ষের নিন্দা করেছেন, বিশেষ করে ভারতীয়রা। বলেছেন, নিজেদের লজ্জায় ফেলা বন্ধ করুন। ভারত অন্তত চাঁদে পা রাখার চেষ্টা করেছে। সেখান থেকে সবার অনুপ্রেরণা নেওয়া উচিত।
তাতেও ফাওয়াদ যেন দমছেন না। পাল্টা টুইট করেছেন, ভারতীয়রা অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। দেখে মনে হচ্ছে, আমার জন্য মিশন ব্যর্থ হয়েছে। আমি ৯০০ কোটি রুপি নষ্ট করতে বলেছিলাম? এবার মাথা ঠাণ।ডা করে ঘুমিয়ে পড়ুন।
Modi g is giving Bhashan on Sattelite communication as he is actually an astronaut and not politician, Lok Sabha shld ask him QS on wasting 900 crore Rs of a poor nation… https://t.co/48u0t6KatM
— Ch Fawad Hussain (@fawadchaudhry) September 6, 2019
ভারতদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি পাকিস্তানের এ মন্ত্রী। লেখেন, মোদির কথা শুনে মনে হচ্ছে, উনি রাজনীতিবিদ নন, আসলে মহাকাশচারী। লোকসভায় মোদিকে প্রশ্ন করা উচিত, কেন গরিব দেশে ৯০০ কোটি রুপি নষ্ট করা হলো।
উল্লেখ্য, এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া চন্দ্রজয় করেছে। ভারতের নভোযান চাঁদে অবতরণ করলে তারা চন্দ্রজয়ী চতুর্থ দেশ হিসেবে তালিকায় উঠে আসত। আর এটিই হতো চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তের সবচেয়ে কাছাকাছি যাওয়া প্রথম নভোযান। এ অভিযান পরিচালনা করতে ভারতের ব্যয় হয়েছে এক হাজার কোটি রুপি। এ অর্থ এর আগে পরিচালিত যেকোনো দেশের চন্দ্রাভিযানের খরচের তুলনায় বহুগুণ কম। ভারতের বিজ্ঞানীদের দাবি, একই ধরনের অভিযানে মার্কিন সংস্থা নাসার ২০ গুণ অর্থ খরচ হয়ে থাকে।
Leave a reply