কংক্রিটের বাঙ্কারে অনুপ্রবেশে সক্ষম একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে তুরস্ক। এসওএম-বি২ নামে ওই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি বৃহস্পতিবার সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে বলে দেশটির শিল্প ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তাফা ভারাঙ্ক নিশ্চিত করেছেন। খবর ডেইলি সাবাহ ও হুররিয়াতের।
তুরস্কের এটিই প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা জানিয়ে দেশটির শিল্প ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তাফা ভারাঙ্ক বলেন, টার্কিশ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের (টিইউবিআইটিএকে) ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (এসএজিই) এ ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়নে কাজ করেছে।
রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত টিইউবিআইটিএকে তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার একটি ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেছেন তুরস্কের প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী। এতে দেখা যায়, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনী (টিএসকে) গভীর ভূগর্ভে সমাধিস্থ করা লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে। ক্ষেপণাস্ত্রটির লক্ষ্যবস্তুর পরিসীমা ২৫০ কিলোমিটারেরও বেশি।
এর আগে গত বুধবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, আঙ্কারাকে নিজস্ব পরমাণু অস্ত্র অর্জনে বারণ করছে পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলো, যেটা অগ্রহণযোগ্য।
তবে তুরস্ক পরমাণু অস্ত্র বানাতে চায় কিনা, তা পরিষ্কার করেননি তিনি। এরদোগান বলেন, বেশ কয়েকটি দেশের পারমাণবিক ওয়ারহেডসহ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। কিন্তু আমাদের সেটা নেই। আমি এটা মানতে পারছি না।
তার মতে, বিশ্বে এমন কোনো উন্নত দেশ নেই, যারা এই অস্ত্রের মালিক না।
১৯৮০ সালে পারমাণবিক অস্ত্রবিস্তার রোধ চুক্তিতে সই করেছে তুরস্ক। অবশ্য ১৯৯৬ সালে বিস্তৃত পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধ চুক্তিতে সই করে দেশটি। এতে যে কোনো উদ্দেশ্যে পরমাণবিক বিস্ফোরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ইসরাইলের মতো একই ধরনের সুরক্ষা পাওয়ার দাবি করছেন বলে আভাস দিয়েছেন এরদোগান।
Leave a reply