এক বছর ধরে পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের পর আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো জরুরি সেবা হেল্প লাইন ‘৯৯৯’ সার্ভিস। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর পুলিশ কমান্ড সেন্টারে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এ সময় তিনি বলেন, সরকার শুধু বর্তমান নয় ভবিষ্যত নাগরিক সেবা নিয়েও কাজ করছে।
নাগরিক নিরাপত্তা সমস্যা, স্বাস্থ্য কিংবা অগ্নি-দূর্ঘটনা। ৯৯৯ নম্বরে ডায়াল করলেই এখন থেকে এসব সমস্যার সহজ প্রতিকার পাবেন নাগরিকরা। যেকোনো মোবাইল ও ল্যান্ডফোন থেকে সম্পূর্ণ টোল-ফ্রি কল করে বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে নেয়া যাবে পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সেবা। জরুরি সেবায় এক সঙ্গে ১২০ জন সাহায্যপ্রার্থী কল করতে পারবেন। গেলো বছরের ১ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এ হেল্পডেস্কের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
হেল্পডেস্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে জয় বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার।
পরে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসদুজ্জামান খাঁন বলেন, দেশবাসীর কল্যাণে সেবাগুলোকে আরও আধুনিক ও সহজলভ্য করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় জরুরি এ সেবার প্রচার ও ব্যবহারে সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
যেসব ক্ষেত্রে ‘৯৯৯’ নম্বরে কল করা যেতে পারে:
# প্রাণনাশের আশঙ্কা দেখা দিলে
# দুর্ঘটনায় পড়লে
# অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে
# কোনো অপরাধ ঘটতে দেখলে
# কোনো হতাহতের ঘটনা চোখে পড়লে
# জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সেবার প্রয়োজন হলে
গত ৮ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সভা শেষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পলক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, গত প্রায় এক বছরে ৯৯৯ এ প্রায় ৩৩ লাখ কল এসেছে। সেবা প্রত্যাশীদের মধ্যে ৬৪.৮০ শতাংশ পুলিশি সেবা, ৩১.১০ শতাংশ ফায়ার সার্ভিস এবং ৪.১০ শতাংশ অ্যাম্বুলেন্স সেবার জন্য ফোন করেছিলেন।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply