বগুড়া ব্যুরো:
বগুড়ার নন্দীগ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসার অফিস সহায়ককে (দফতরি) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে অফিস সহায়ক বাবলু গাইনের বাড়ি থেকে অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই ছাত্রীকে। এসময় পুলিশ বাবলুকেও গ্রেফতার করে।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত কবির যমুনা নিউজকে জানান, মাদরাসার ওই ছাত্রী (১৩) শনিবার বিকেলে ক্লাস শেষে মাদরাসা সংলগ্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ আনতে যায়। এসময় তার পিছু নেয় মাদরাসার অফিস সহায়ক বাবলু গাইন (৪৫)। সেখান থেকে বের হলে ওই ছাত্রীকে কৌশলে কাছেই নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় সে। পাশাপাশি পাড়ায় বাড়ি হওয়ায় এবং বাবলু প্রতিবেশী সম্পর্কে ‘নানা’ হওয়ায় শিশুটি সরলমনেই তার সঙ্গে সেখানে যায়। বাড়িতে নেয়ার পর বাবলু তাকে ধর্ষণ করতে শুরু করে।
এসময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে বাবলুর বাড়ি ঘেরাও করে তাকে আটক করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং বাবলুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ওসি আরো জানান, সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা মাদরাসার অফিস সহায়ক বাবলু গাইনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রোববার ধর্ষণের শিকার শিশুকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।
Leave a reply