দুর্দিন যেন পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশের। একমাত্র টেস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশাল ব্যবধানে হার। সেই ধারাবাহিকতা টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৫ রানে হেরে হতাশ টাইগার শিবির।
অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মনে করেন দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিতে না পারায় আফগানিস্তানের কাছে শেষ ম্যাচ হারতে হয়েছে।ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এনেও তারা প্রত্যাশামাফিক পারফরম্যান্স করতে না পারায় হতাশ তিনি। পাশাপাশি নো বল এবং শেষ ১০ ওভারে যাচ্ছেতাই বোলিং ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে বাংলাদেশকে।
১৬৫ রানের টার্গেট। টি-টোয়েন্টির মানদণ্ড ধরলে লক্ষ্যটা মামুলি। তবুও বাংলাদেশের ব্যাটিংঅর্ডারে ব্যাপক পরিবর্তন। ওপেনিংয়ে লিটনের সঙ্গী মুশফিক। রানের খাতা খোলার আগেই লিটনের বিদায়ের পর ব্যক্তিগত ৫ রানে মুশি ফিরলে নামেন সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ। আচমকা লাইন ধরে সব অভিজ্ঞদের ওপরে উঠে ব্যাটিং করতে দেখে অবাক কোটি ক্রিকেটপ্রেমী।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে হারের কারণ জানালেন সাকিব। তিনি জানান, সিনিয়রদের দায়িত্ব নিতে ব্যাটিং পজিশন বদলানো হয়। কারণ, তারা ভালো খেললে ম্যাচে টিকে থাকা যায়।
প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশের বোলিং ছিল দুর্দান্ত। এসময়ে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫৯ রান তোলে আফগানিস্তান। কিন্তু এরপরই পথ হারায় স্বাগতিকরা। টাইগার বোলাররা শুরু করেন বাজে বোলিংয়ের প্রদর্শনী। এর ফায়দা লুটে শেষ ১০ ওভারে ১০৫ রান তুলে স্কোরটাকে সাকিবদের নাগালের বাইরে নিয়ে যান আসগর-নবী। এর মধ্যে পরিস্থিতি পাল্টানোর জন্য একটি নো বলও দায়ী।
সাকিব বলেন, আফগানদের বিপক্ষে শেষ দিকে আমরা বেশ কিছু ভুল করেছি। দলীয় শতকের পর তাইজুলের বলে আউট হন ইনফর্ম আসগর। তবে সেটি ছিল নো বল। এর কল্যাণে বেঁচে যান তিনি। এতে মোমেন্টাম পেয়ে যায় সফরকারীরা। কার্যত ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল ওটাই। পরে আসগর-নবীর ব্যাটিং তাণ্ডবে সব এলোমেলো হয়ে যায়।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি পরিণত আফগানিস্তান। টানা ৪ ম্যাচে জয় যার বড় প্রমাণ। তবে ফর্ম বা ছন্দ সবই সাময়িক। দল হয়ে খেলতে পারলে এখনও ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখছেন অন্যতম বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সাকিব মনে করেন, র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চেয়ে পরিণত। তিনি বলেন, আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে আমাদের চেয়ে এগিয়ে তারা। তাদের অবস্থান ৭, আর আমাদের ১০।স্বাভাবিকভাবেই শক্তিশালী টিম ওরা।
সাকিবের মূল্যায়ন দলের সিনিয়রদের ব্যর্থতার কারণেই প্রতি ম্যাচে ভরাডুবি ঘটছে। এ সমস্যা না কাটিয়ে উঠতে পারলে পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙা যাবে না।
Leave a reply