নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে পুলিশের উপস্থিতিতে কিশোর শামছুদ্দিন মিলন (১৬) কে পিটিয়ে হত্যা মামলায় আদালতে দায়েরকৃত ২৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত তৎকালীন কোম্পানীগঞ্জ থানার এস আই আকরাম শেখ সহ পলাতক ২১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আজ রোববারদুপুরে নোয়াখালী আমলী আদালত ২ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান দায়েরকৃত চার্জশীট টি আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে , নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর কাঁকড়া ইউনিয়নের লোকজন ২০১১ সালের ২৭ জুলাই ছয় ডাকাতকে পিটিয়ে হত্যা করে। কিশোর মিলন ওইদিন সকালে চর ফকিরা গ্রামের বাড়ি থেকে উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। পথে চর কাঁকড়া একাডেমি স্কুলের সামনে থেকে একদল লোক তাকেও ডাকাত সন্দেহে আটক করে পুলিশের গাড়িতে তুলে দেন। কোম্পানীগঞ্জের তৎকালীন এসআই মো. আকরাম শেখের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মিলনকে থানায় না নিয়ে ডাকাত সাজিয়ে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারে উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেন। এরপর লোকজন নিরপরাধ কিশোর মিলনকে পুলিশের উপস্থিতিতে পিটিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে। ঘটনার কয়েকদিন পর মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিওচিত্রে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের খবর গণমাধ্যমে ওঠে আসে। এনিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় উঠে। ২০১৫ সালের জুলাই মাসের প্রথম দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নোয়াখালী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) ওসি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মামলায় তদন্তে ভিডিওচিত্র দেখে হত্যার ঘটনায় সনাক্ত হওয়া ২৭ ব্যক্তি ও চার পুলিশ সদস্যসহ ৩২ জন আসামির সবাইকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে নোয়াখালীর ২(দুই) নম্বর আমলী আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল) রিপোর্ট দাখিল করেছিলেন।
পরবর্তীতে মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে সিআইডি কুমিল্লা -নোয়াখালী অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহম্মেদ চলতি বছরের ৯ মার্চ আদালতে পুলিশ সদস্যদেরকে বাদ দিয়ে ২৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। এর মধ্যে আবদুর রাজ্জাক নামে একজনের মৃত্যু হওয়ায় তাকে চার্জশীট থেকে বাদ দেয়া হয়। এ মামলায় সাতজন বর্তমানে জামিনে রয়েছে।
Leave a reply