ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তির করার অভিযোগে চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিসের কর্মচারীসহ ৩ জন আটক করা হয়েছে। যমুনা টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের পর তাদের আটক করা হয়। হারিয়ে যাওয়া ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়েছে।
এরআগে চট্টগ্রাম থেকেই বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র-এনআইডি পেয়েছে অন্তত: ৩ হাজার রোহিঙ্গা। ভয়াবহ এ জালিয়াতির সাথে জড়িত রয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের ৭ নির্বাচন কর্মকর্তা। এমনকি রোহিঙ্গাদের তথ্য সংরক্ষণ করা ৭টি ল্যাপটপও গায়েব করে ফেলেছেন তারা। এনআইডি পাওয়ার ঘটনা তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৫ সালে ভোটার হালনাগাদের সময়, রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যায় চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ কার্যালয়ের ৪৩৯১ সিরিয়ালের একটি ল্যাপটপ।
দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত রোহিঙ্গা ডাকাত নুর আলমের তথ্য কেন্দ্রীয় সার্ভারে এন্ট্রি করা হয়েছিলো ওই ল্যাপটপের মাধ্যমে। যেটি দিয়ে আরও ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে দুদক।
দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, রোহিঙ্গাদের ভোটার করার তথ্যপ্রমাণ লুকাতেই সরানো হয়েছে ওই ল্যাপটপ। এর সাথে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনের ৬ জন এবং ঢাকার একজন কর্মকর্তার জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে দুদক।
ওই ল্যাপটপটি ছাড়াও ২০১৫ সালের আগে পরে আরও ৬টি ল্যাপটপ উধাও হয়ে গেছে চট্টগ্রামের নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে। এসব ল্যাপটপের বিষয়ে এতদিন চুপ থাকলেও দুদক মাঠে নামার পর, দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন।
গত ২২ আগস্ট চট্টগ্রামে পাসপোর্ট করতে গিয়ে ধরা পড়েন লাকী নামে এক রোহিঙ্গা নারী। রোহিঙ্গা ডাকাত নুর আলমের কাছেও পাওয়া যায় স্মার্ট কার্ড। এরপরই ঘটনা তদন্তে মাঠে নামে দুদক।
Leave a reply