বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকে অপসারণের পর যুবলীগের বিষয়েও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন থেকেই যুবলীগে শুদ্ধি অভিযানের বিষয়টি আলোচিত হচ্ছিল। বিশেষ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কিছু নেতার নাম আলোচনায় ছিল। গুঞ্জনের মধ্যেই অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে।
বুধবার সন্ধ্যায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তারা। বিকেল থেকেই খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার গুলশানের বাসা ও ফকিরাপুলে তার মালিকানাধীন একটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র্যাব। ‘ফকিরাপুল ইয়াংমেনস ক্লাব’ নামের ওই ক্যাসিনো (জুয়ার আসর) থেকে অন্তত ১৪২ জনকে আটক করা হয়েছে। একই সাথে জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা ও জুয়া সামগ্রী।
গত শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশের পর যুবলীগ নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে যুবলীগের দোয়া অনুষ্ঠান ও যুব জাগরণ সমাবেশের প্রসঙ্গ এলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছেন একাধিক নেতা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাঁদাবাজির টাকা হালাল করার জন্যই এমন আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগের একজন নেতা চার থেকে পাঁচজন দেহরক্ষী নিয়ে চলাফেরা করেন। বড় বড় অস্ত্র নিয়ে অস্ত্রধারীরা তার চারপাশে অবস্থান করে। এ সব দেখলে মানুষের কী ধারণা হয়। তাছাড়া আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়। এখন কেন ওই নেতা এত নিরাপত্তাহীনতায় আছেন?
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে বলেন, কিছুতেই এসব অপকর্ম সহ্য করা হবে না। অস্ত্রবাজি ও ক্যাডার রাজনীতি চলবে না। যে কোনো মূল্যে এই অপরাজনীতির অবসান ঘটাতে হবে।
মূলত, তখন থেকেই গুঞ্জন ছিল যুবলীগের কিছু চিহ্নিত নেতাকে শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হতে পারে। বুধবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটকের মধ্য দিয়ে সেটি বাস্তবে রূপ পেলো।
Leave a reply