যুবলীগ নেতা সম্রাটের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। জানান, জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের লোক, যেই হোক না কেন অপরাধের প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
শনিবার দুপুরে, রাজধানীর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে তিনি একথা বলেন। যাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা দুর্নীতি করছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় একের পর এক তাদেরকে ধরা হচ্ছে। সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে, কেউ শাস্তির বাইরে যাবে না। অভিযোগের সত্যতা থাকলে, যুবলীগ নেতা সম্রাটের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার আটক হওয়া জিকে শামীম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সে কীভাবে এতগুলো টেন্ডার পেয়েছে সেটি অন্য বিষয়। তার বিরুদ্ধে বিস্তারিত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকে সরিয়ে দেয়ার পর যুবলীগের কিছু নেতার ব্যাপারেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে তার গুলশানের বাসা থেকে আটক করে র্যাব। একই সময় ঢাকার ফকিরাপুলে তার ইয়ংমেনস ক্লাবের অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ ১৪২ জনকে আটক করা হয়। এরপর একে একে বিভিন্ন ক্যাসিনো বা বারে অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।
মূলত, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের পর থেকেই আলোচনায় আছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। বিভিন্ন সূত্র বলছে, তিনি ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে জুয়াড়িদের কাছে পরিচিত। সম্রাটের অবস্থান নিয়েও শোনা যাচ্ছে নানা গুঞ্জন। যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী সম্রাটের নেতৃত্বাধীন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগকে ‘শ্রেষ্ঠ ইউনিট’ বলে অভিহিত করলেও, এখন তিনিও অবৈধ কর্মকাণ্ডের জড়িত না থাকতে নেতাকর্মীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
Leave a reply