আখাউড়া প্রতিনিধি
মানবপাচার রোধ ও মাদক নির্মূলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় ব্যতিক্রমী কার্যক্রম শুরু করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এখন থেকে সীমান্তরক্ষী এ বাহিনীর হাতে কোনো ধরনের মানবপাচারকারী, মাদকপাচারকারী, মাদকবিক্রেতা কিংবা মাদকসেবী আটক হলেই তাদের বাড়িতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হচ্ছে।
আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ ধরনের অপরাধীদেরকে নিরুৎসাহিত করা ও মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তাদের বাড়ি চিহ্নিতকরণ ও বাড়ির সামনে ব্যানার কিংবা দেয়ালে বড় অক্ষরে লিখে দেয়া হচ্ছে ‘মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি’, ‘ইয়াবা ব্যবসায়ীর বাড়ি’ ইত্যাদি।
বিজিবি সূত্র জানায়, আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ এালাকার ত্রিপুরা সীমান্তঘেষা ঘাগুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন ও তার স্ত্রী রত্না বেগম চিহিৃত মানবপাচারকারী ও মাদকবিক্রেতা । ওই গ্রামের সড়কের পাশেই তাদের টিনশেডের বাড়ি।
গত ২৪ জুলাই রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘাগুটিয়া এলাকার ২০১৮ মেইন পিলারের দৌলতপুর সীমান্ত পথে অবৈধভাবে ভারতে পাচারের সময় ঘাগুটিয়া বিজিবি ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা তিন নাইজেরিয়ান নাগরিককে আটক করে।
আটকরা হলেন- চিনিমী ওচীবুকু নোয়াজোর (৩০), পাসপোর্ট নম্বর- এ১০০৮২৫৮০, চীবুকীওলিভার নোশু (৩০), পাসপোর্ট নম্বর- এ১০০৮২৮৪৮ ও ইলভিস সিজীকি ইভীজি (২৫), পাসপোর্ট নম্বর- এ১০২১৬৭৪৫।
ঘাগুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোশাররফ ও তার স্ত্রী রত্না মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের বাড়িতে ‘মানব পাচারকারীর বাড়ি’ লিখে চিহ্নিত করে দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃপক্ষ।
২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কবির জানান, মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়ে সীমান্ত অপরাধীরা যেন সুস্থ ও সামাজিক জীবনে ফিরে আসে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে মানবপাচারকারী, মাদক চোরাকারবারী এবং মাদক বিক্রেতাদের তালিকা করা হয়েছে। এসব তালিকা ধরে তাদের বাড়িও ব্যানার ও দেয়াল লিখন দিয়ে চিহ্নিত করা হবে।
Leave a reply