শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরের নড়িয়া-জাজিরার পদ্মার ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের ব্যাপক এলাকা নিয়ে ধস নেমেছে। এতে ৩টি বসতবাড়ি, ১টি মসজিদ, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে প্রকল্প কাজের বিশাল অংশ।
এ ঘটনায় ওই সময় ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকা ওই এলাকার মঙ্গল বেপারি নামের একজন হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিকে নড়িয়ার কেদারপুর ইউনিয়নের কারিকরপাড়া প্রকল্প এলাকার বিশাল অংশ নিয়ে পদ্মা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিলে তা ভেঙে যেতে থাকে।
এতে ১টি পাকা ভবন, ২টি টিন শেড ঘর, ১টি মসজিদ, ১টি বিদ্যুতের খুঁটি ও বহু গাছপালাসহ জমি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ঝুঁকিতে রয়েছে আরও ঘর বাড়ি ও স্থাপনা। তীর রক্ষা কাজে ধস দেখা দেয়ায় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষ জান মালসহ নিরাপদ স্থানে ছুটে যাচ্ছে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তী রুপা রায় বলেন, প্রতিরক্ষামূলক বাঁধে ধসের কারণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কি ধরণে ক্ষতি তা আগামীকাল নির্ণয় করা যাবে। এলাকাটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। স্থানীয়দের সতর্ক করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিরাপত্তায় কাজ করছে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার বলেন, ধসের ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত। ওই স্থানে প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবেই করা হয়েছিল। কিন্তু কেন বা কিভাবে ধস হয়ে এখন বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। মেরামতের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে সকাল থেকে কাজ শুরু করা যাবে।
Leave a reply