পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুইগ্রুপের সশস্ত্র সংঘাতে আব্বাস হাওলাদার (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাত জন। এদের মধ্যে তিন জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জের সলিমপুর গ্রামে শুক্রবার ভোর রাতে এ সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন হাসন বানু (৬০), শামীম হাওলাদার (২৫), রফিক খান (৫০), মো. রশিদ (৭০), মোসাম্মৎ শাহবানু (৬০), সেলিনা (৫০), ইয়াসমিন (২২)।
এ ঘটনায় বেল্লাল গাজী, লাইজু বেগম, শিমুল, রুবেল হাওলাদার, আল-আমিন মল্লিক ও রাজু গাজীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বিরোধীয় জমিতে রশিদ খলিফা গং সাত/আট দিন আগে রাতের আধারে তিনটি ঘর তোলে এবং সেখানে কলাগাছ লাগিয়ে রাতারাতি দখল নেয়। প্রতিপক্ষ মোসলেম আলী খলিফা গং শুক্রবার ভোর রাতে দখল পুনরুদ্ধারে যায়। এনিয়ে দু পক্ষের সংঘাতে গুরুতর জখম আব্বাস হাওলাদারকে বরিশাল নেয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহত আব্বাস হাওলাদারের বাড়ি ধুলাসার ইউনিয়নের অনন্তপাড়া গ্রামে।
নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম জানান, তারা বেড়াতে এসেছেন। ঘুমিয়ে থাকাকালীন অবস্থায় তাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়।
প্রতিপক্ষ মোসলেম আলীর ছেলে শামিম খলিফা জানান, তাদের ভোগদখলীয় জমিতে প্রতিপক্ষরা ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে এক রাতের আধারে তিনটি ঘর তোলে এবং কলাগাছ রোপন করে। এনিয়ে দুইগ্রুপে মারামারি হয়। নিহত ব্যক্তি কীভাবে জখম হয়েছে তা তাদের জানা নেই। জমি দখল করতে ভাড়াটে সন্ত্রাসী জড়ো করে তাদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ করেন শামীম।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান জানান, ঘটনার পরপরই গোটা এলাকায় পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালিয়ে ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Leave a reply