গ্যাস্ট্রিক ও পেটের পেটের পীড়ার নানা উপসর্গের চিকিৎসায় ব্যবহৃত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধে ক্যান্সারের উপাদান পাওয়া গেছে।
জীবনযাত্রার নানান ক্ষতিকর দিকের একটি হল বুক জ্বালাপোড়া ও অম্লভাব বা ‘অ্যাসিডিটি’।
চিকিৎসা-বিজ্ঞানের সঙ্গানুসারে স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকস্থলিতে থাকা ‘গ্যাস্ট্রিক’ গ্রন্থিগুলো থেকে অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসৃত হলে এই অম্লভাব দেখা দেয়। আর এর কারণে বুকের নিচের অংশে হতে পারে জ্বালাপোড়া।
বুক জ্বালাপোড়া কমানোর একটি ওষুধ হল ‘অ্যান্টাসিড’। এই ওষুধ প্রায় সবার ঘরেই থাকে।আবার অনেক সময় অনেকে তা সঙ্গে রাখেন। আর সামান্য অস্বস্তি হলেই ওষুধ খেয়ে ফেলেন। আর এখানেই বিপত্তি।
গ্যাস্ট্রিকের ওষুধে ক্যান্সারের ঝুঁকি
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ব্যবহৃত রেনিটিডিন গ্রুপের ওষুধে ক্যান্সারের উপাদান পাওয়া গেছে। তাই কয়েকটি কোম্পানি তাদের রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধ প্রত্যাহার করেছে।
আন্তর্জাতিক ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ইউএস এফডিএ’ এই গ্রুপের ওষুধে ‘এন-নাইট্রোসোডিমিথাইলামিন (এনডিএমএ)’ নামক এক উপাদানের অস্তিত্ব খুঁজে পায়।
‘ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি)’ এই উপাদানকে মানুষের দেহে ক্যান্সারের জন্য সম্ভবত দায়ী বলে দাবী করে।
বাজার থেকে এই ওষুধ নিষিদ্ধ করা না হলেও চিকিৎসক ও রোগী দুপক্ষকেই এই ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সতর্ক করা হচ্ছে।
কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে সিবিসি ডট সিএ’তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, রেনিডিন গ্রুপের ওষুধে স্বল্প মাত্রায় ‘এনডিএমএ’য়ের উপস্থিতি রয়েছে।
তাই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরমার্শ নেওয়া উচিত।
ছবি: রয়টার্স।
Leave a reply