আমাকে অনুসরণ করো, কিছুটা হলেও উপকৃত হবে। আমি স্কুলে বেতন দিতে পারিনি। তাই এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার আগে তিন বার খাতা থেকে নাম কাটা পড়েছিল। তারপর গ্রামের মানুষ বেতন দিলে পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি মেলে। একইভাবে এইচএসসি পরীক্ষাতেও বেতন দিতে পারিনি। গ্রামের মানুষ বেতন দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এই কথাগুলো অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের। জীবনের কঠিন সংগ্রামের দিনগুলো শিশু-কিশোরদের কাছে এভাবেই তুলে ধরেছেন তিনি।
শনিবার রাজধানীর শাহাবাগে জাতীয় জাদুঘরের মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩-তম জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদসহ বিভিন্ন স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও আলোচনায় অংশ নেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি লজিং থেকে টিউশনি করিয়ে পড়ালেখা করেছি। তারপর আজকে অর্থমন্ত্রী হয়েছি। সুতরাং সব শিশু-কিশোরই আগামীতে অর্থমন্ত্রী হতে পারবে।
তিনি বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে আজ এখানে এসেছি। আমি যখন থেকে স্কুলে যাওয়া শুরু করি ক্লাস সেভেন থেকে এসএসসি পর্যন্ত ৩ বার বেতন দিতে না পারায় নাম কাটা গেছে। আমার স্কুলের বেতন দিয়েছে এলাকার মানুষজন গ্রামের মানুষ। আবার কলেজে যখন ফরম পূরণ করবো তখনও টাকা ছিল না। শেষ দিন, একদম শেষ দিন, লাস্ট ডে তে আমার গ্রামের হাবিবুল্লাহ নামের একজন ছিলেন তিনি আমার ফরম পূরণের টাকা দিয়েছিলেন। আমি লজিংয়ে থেকে লেখাপড়া করেছি, টিউশনি করেছি, লজিংয়ে থেকে পড়ালেখা করে আজ আমি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হতে পেরেছি, আজ আমার সামনে তোমরা যারা আছ তারা কেন হতে পারবে না।
এ সময় মিলনায়তনে উপস্থিত সবাই অর্থমন্ত্রীকে করতালি দিয়ে অভিবাদন জানায়।
Leave a reply