বাস্তবায়নের আগেই ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ সংশোধনের সংবাদে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
শনিবার টিআইবি থেকে পাঠানো বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের অযৌক্তিক দাবি ও চাপে সরকার নতি স্বীকার করলে সেটা হবে আদালত অবমাননা ও জনস্বার্থের পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত বা প্রাণহানির জন্য সর্বোচ্চ সাজা ছিল তিন বছরের কারাদণ্ড। এ ক্ষেত্রে সড়ক বিশেষজ্ঞদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সর্বোচ্চ সাজা ১০ বা এর বেশি বছর করার। এমনকি উচ্চ আদালতেরও নির্দেশনা ছিল সাত বছর করার।
গত বছর ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। সেদিন থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারা দেশে রাস্তায় নেমে আসে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর তড়িঘড়ি করে পাস করা হয় সড়ক পরিবহন আইন। খসড়া আইনে সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছরের কারাদণ্ড করা হয়েছে। এরপর আইনটির বেশ কয়েকটি ধারা সংশোধনের দাবিতে আন্দোলনে নামেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবির মধ্যে রয়েছে- সড়ক পরিবহন আইনের সব ধারা জামিনযোগ্য করা, সড়ক দুর্ঘটনায় শ্রমিকের অর্থদণ্ড পাঁচ লাখ টাকার বিধান বাতিল করা, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি করা ইত্যাদি।
Leave a reply