ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাহানী ও এর র্যাংকিং অবমূল্যায়ন সহ ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য অবৈধ পন্থায় ভর্তি ও নানা ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), ডাকসু ভিপি, ডাকসু জিএস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিগাল নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
এতে উপাচার্যসহ উল্লেখিত ব্যক্তিদের কেন স্বপদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য অনুরোধ করা যাবেনা বা তাদের পদত্যাগ দাবি করে কেন যাথাবিহীত ও ন্যায়সঙ্গত কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবেনা তা জানতে চয়ে তিন দিনের সময় প্রদান করা হয়েছে।
গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯) এই নোটিশ প্রদান করেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট মাহাবুবুল আলম দুলাল।
নোটিশে তিনি বলেন, বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় একটি যুগান্তকারী ভূমিকা গ্রহণ করে দেশে বিদেশে সুনাম ও আস্থা কুড়িয়েছিল। কিন্তু বর্তমান উপাচার্যের প্রত্যক্ষ ব্যর্থতা, অদক্ষতা, অক্ষমতা ও দায়িত্বহীনতার দরুণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান এখন তলানীতে। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানহীনতার ফলে দেশ ও জনগণের যে অপূরণীয় ক্ষতিসাধন হয়েছে তার জন্য উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), ডাকসু জিএস ও রেজিস্ট্রারকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে।
এরসাথে, নোটিশে ডাকসুর ভিপিকে কোটারী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষুদ্র স্বার্থান্ধতায় চাকর-চাকরানী হবার প্রতিযোগীতায় লিপ্ত করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। এ নোটিশে ডাকসু জিএসকে নজিরবিহীন দুর্নীতি ও নৈতিকস্থলনের জন্য নিজ সংগঠন থেকে বহিষ্কার হওয়ার দরুণ বিশ্ববিদ্যালয়কে কলুষিত করেছেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়।
এর প্রেক্ষিতে, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), ডাকসু ভিপি, ডাকসু জিএস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে দেশেরে প্রচলিত আইনে কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রতিাকরার্থে প্রয়োজনীর পদক্ষেপ গ্রহণে নোটিশ দাতা কর্তৃত্ববান হইবে না জানতে চেয়ে তিন দিনের মধ্যে নোটিশ দাতাকে জবাব প্রদান করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
Leave a reply