বহু গুঞ্জনের পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে তার সহকারী আরমানসহ আটক করেছে র্যাব। আটক সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
রোববার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের পুঞ্জশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে আটক করা হয়। সেখানে মুনির চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে সম্রাট লুকিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে সম্রাট ও আরমানকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ও সহসভাপতির পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। আটকের পর দুপুরে তাদের বহিস্কারের বিষয়টি যুবলীগের কার্য নির্বাহী কমিটি গণমাধ্যমকে জানায়।
আটকের পর ঢাকায় এনে সম্রাট ও আরমানকে প্রথমে রাখা হয় উত্তরায় র্যাব হেড কোয়ার্টারে। পরে সেখান থেকে কাকরাইলে সম্রাটের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় তল্লাশির জন্য। এর আগে তাকে অর্থপাচার, টেন্ডার চাঁদাবাজির ভাগ কারা পেতো সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এছাড়া ক্যাসিনো ব্যবসা ও কয়েকটি আলোচিত হত্যার বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তল্লাশি শেষে তাকে মতিঝিল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। এ প্রক্রিয়া শেষ হতে দেরি হলে আগামীকাল সিএমএম আদালতে তোলা হবে সম্রাটকে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের চার দিনের মাথায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়। যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ ভুইয়াকে আটকের পর উঠে আসে সম্রাটের নামও। তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ক্যাসিনো পরিচালনা করে বিপুল অর্থ আয়ের অভিযোগ রয়েছে। বলা হচ্ছে তিনিই ক্যাসিনো সম্রাট।
Leave a reply