বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নং কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে হলের নিচতলা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। কক্ষটি থেকে হত্যার বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে।
২০১১ নম্বর রুম থেকে পুলিশ চারটি ক্রিকেট খেলার স্টাম্প, একটি চাপাতি, দুটি লাঠি ও কয়েকটি খালি মদের বোতল উদ্ধার করেছে। স্টাম্পগুলোর মধ্যে একটিতে লালচে দাগ রয়েছে। এতে রক্তের শুকনো দাগ হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে আবরারের মামাতো ভাই আবু তালহা রাসেল জানান, খবর পেয়ে আমি সকাল ৬টায় ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে আসি। ওখান থেকে ৭টায় আবরারের হলে যাই। সেখানে আবরারকে মারা হয়েছে। আমি সেখানে গিয়ে দেখি একটা চাপাতি, বেশ কিছু ভাঙা ও অক্ষত স্ট্যাম্প আর মদের বোতল। আমি ছবি তুলতে চাইলে আমার সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা বাধা দেয়।
আবরারের মামা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমরা যখন আবরারকে মর্গে দেখি তখন তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখি। শরীরের প্রায় সব জায়গায় মোটা মোটা ও লালচে আঘাতের চিহ্ন আছে। আবরার যে রুমে থাকে সেখানে গিয়ে তার ল্যাপটপ ও ব্যবহারের মুঠোফোন খুঁজলে সেগুলো পাইনি। কে বা কারা নিয়েছে সেটাও বলতে পারছি না।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় সাংবাদিকদের জানান, আবরারকে পিটিয়ে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। ঘটনাটি তদন্তে ডিবি ও থানা পুলিশ কাজ করছে। জড়িতরা অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবরারকে যে কক্ষে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেই কক্ষে নিয়মিত মদের আসর বসতো। সেই কক্ষে বেশ কয়েকটি মদের বোতলও পাওয়া গেছে। ওই রুমে চারজন থাকতেন, তারা সবাই ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের নেতা।
শের-ই বাংলা হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ওই রুমে প্রায় রাতে মদের আসর বসতো। তারা চিৎকার চেঁচামেচি করতেন। তাদের কেউ কিছু বলতে গেলে বাজে ব্যবহারের শিকার হতে হয়েছে।
Leave a reply