যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের দলে জায়গা দিয়েছেন খালেদা জিয়া: প্রধানমন্ত্রী

|

স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের দলে জায়গা দিয়েছেন খালেদা জিয়া, এমন অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়নে বিশ্বাসী এদেশের মানুষ তাদের কখনো ভোট দেবে না।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বর্তমানে দেশের মানুষ মাথা উঁচু করে চলছে। তাই মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী।

আলোচনা সভায় বিজয় দিবসের তাৎপর্য ছাড়াও উঠে আসে সমসমায়িক রাজনীতি ও আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গ।স্বাধীনতা যুদ্ধ ও পরবর্তী প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে আঁতাত করায় বিএনপির কড়া সমালোচনা করেন। বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। আর তাদের সন্তানদের দলে জায়গা দিয়েছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া।

যুদ্ধাপরাধীদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের জন্য রাজনীতি করার সুযোগ ছিল না, ভোটের অধিকার ছিল না। কিন্তু জাতির পিতাকে হত্যার পর সাজাপ্রাপ্ত সব আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়। তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া হয়। যারা পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল, তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী যারা তৈরি করেছিল, যারা দেশকে ধ্বংস করেছে, যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদেরই কেউ কেউ হয় উপদেষ্টা, কেউ কেউ হয় মন্ত্রী।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কী দুর্ভাগ্য, যারা দেশের জন্য রক্ত দিলো, যারা নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করলো, তারা হয়ে গেল অপরাধী। আর যারা দেশকে ধ্বংস করলো, যারা ধর্ষণ করলো, নির্যাতন করলো, লুটপাট করলো, তারাই হয়ে গেল মন্ত্রী।’

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একজন ছিল সাধারণ এক মেজর। জাতির পিতা তাকে পদোন্নতি দিয়ে মেজর জেনারেল বানালেন। সেই বেঈমান, মুনাফেক জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকেই হত্যার সঙ্গে জড়িয়ে পড়লো। সে ইনডেমনিটি জারি করলো। যারা খুনি, তাদের দূতাবাসের চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হলো। জাতির পিতার হত্যাকারীরাই হয়ে গেল বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তা।’

যারা সৃষ্টি করে তারা দেশের উন্নয়ন করে, আর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে তারা দেশকে পিছনের দিকে নিতে চায় বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ক্ষমতার ধারাবাহিকতায় মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। দেশের মানুষের সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply