দ্বন্দ্বের ‘শাস্তি’ মঞ্চেই পেলেন দুই আওয়ামী লীগ নেতা

|

রাজশাহী ব্যুরো:

দ্বন্দ্ব চরমে থাকায় ঘোষণা দিয়ে রাজশাহীতে বিভাগীয় কর্মীসভায় বক্তৃতার সুযোগ দেয়া হয়নি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদককে। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে সভায় এমন ঘটনা নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে তৈরি হয় কানাঘুষা-হাস্যরস।

সকাল থেকে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে কর্মীসভা উপলক্ষে জড়ো হতে থাকেন বিভাগের সব জেলা, উপজেলা, মহানগর ও থানা পর্যায়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। সবমিলিয়ে আমন্ত্রিত ছিলেন ২৪০ জন প্রতিনিধি। একে একে তাদের অনেকেই বক্তব্য রাখেন। প্রায় সবার বক্তৃতাতেই ছিল স্থানীয় পর্যায়ে দলে মতবিরোধ আর কোন্দলের কথা। কেউ কেউ জামায়াত-শিবিরের অনুপ্রবেশের অভিযোগও করেন।
হঠাৎ কানাঘুষা শুরু হয়, রাজশাহী জেলা সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী আর সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদকে কথা বলার সুযোগ দেয়া হবে কিনা, তা নিয়ে। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক মঞ্চে উঠে ঘোষণা দেন, দু’জনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত মাত্রায় যাওয়ায় তাদের বক্তৃতার সুযোগ দেয়া হবে না। নানকের এ ঘোষণার সময় ওমর ফারুক চৌধুরী আর আসাদুজ্জামান মঞ্চেই ছিলেন।

তৃণমূলের কথা শোনার পর একে একে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। নানক বলেন, অনুপ্রবেশকারীতে ভরে গেছে দল। কারা তাদের নাম দলে লিখিয়েছে, সে প্রশ্নও করেন তিনি। বুয়েটে আবরার হত্যাকারীরা ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী ও জামায়াত পরিবার থেকে আসা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দলে নতুন রক্ত সঞ্চালন প্রয়োজন। নবীন-প্রবীণ মিলে হবে নতুন কমিটি। শিগগিরই পুরনো সব কমিটি ভেঙে নতুন করে সম্মেলন করা হবে বলেও জানান তিনি।

সভায় উপস্থিত তৃণমূল নেতাদের কাছে দলের অভ্যন্তরীণ ১৩টি বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। নেতারা তা লিখিতভাবে জমাও দেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply