হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম কুদরত আলী (৪০)।
পুলিশের দাবি, নিহত কুদরত আন্তঃবিভাগীয় ডাকাত সর্দার। তার বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। কুদরত আলী হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের দরিয়াপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার ভোর রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী পুরাসুন্ধা বাঁশ বাগান এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, গোপন খবর পেয়ে ভোর রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী পুরাসুন্ধা বাঁশ বাগান এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় কুদরত আলীসহ ১০/১২ জনের একদল ডাকাত পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়ে।
আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এসময় অন্য ডাকাতরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে নিহত কুদরত আলীর পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পাইপগান, ছয় রাউন্ড গুলি, দুটি রামদা, রডসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহারের সরঞ্জমাদি উদ্ধার করা হয়।
অভিযানকালে ডাকাত দলের হামলায় ডিবির এসআই আবুল কালাম আজাদ, এসআই মোজাম্মেল হক, কনস্টেবল জয়নাল আবেদিন, নূরুল ইসলাম, রনি কর ও রিপন আহত হন।
নিহত ডাকাত সর্দার কুদরত সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করতো। তার বিরুদ্ধে মোট ১৩টি ডাকাতির মামলা রয়েছে। তিনি আন্তঃবিভাগীয় ডাকাত সর্দার।
Leave a reply