পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারে জড়িত থাকায় বরিশালে ১০ভুয়া সাংবাদিক আটকের পর এবার পটুয়াখালীর তেতুলিয়া নদীর ধুলিয়া পয়েন্ট থেকে একই অভিযোগে বরিশাল বন্দর থানার জুলফিকার ও মোহাম্মদ আলী নামের পুলিশের দুইজন সদস্যসহ ছয়জন জেলেকে আটক করেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ গঠিত একটি আভিযানিক দল।
এ সময় স্পিড বোট নিয়ে আরও ৪ পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন জেলে পালিয়ে যায় বলে জেলা মৎস্য অফিস দাবি করছে। রবিবার বিকেলে তেতুলিয়া নদীতে অভিযানের সময় ১টি মাছধরা ট্রলার থেকে এদেরকে আটক করা হয়েছে। এসময় বিপুল পরিমান ইলিশ, জাল জব্দ করা হয়েছে বলে জেলা মৎস্য অফিস জানায়।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানান, বিকেলে বাউফল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং নৌ পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি দল অভিযানে নামে। তেতুলিয়া নদীর ধূলিয়া পয়েন্টে ইলিশ ধরার সময় একটি ট্রলার আটক করে। ওই ট্রলার থেকে বরিশাল বন্দর থানার মো. জুলফিকার ও মোহাম্মদ আলী নামের দুই পুলিশ সদস্য ও ৪ জেলেকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় দুটি স্পিড বোটসহ অন্যরা পালিয়ে যায় বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে পটুয়াখালী বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শুভ্র দাস জানান, আটক দুই পুলিশ সদস্যকে বরিশাল বন্দর পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে তারাই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
অপরদিকে বরিশাল বন্দর থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার সন্ধ্যায় জানান, জুলফিকার ও মোহাম্মদ আলী নামের দুই পুলিশ সদস্য তার থানায় আছেন। তবে ভোলার ঘটনায় তিনি ব্যস্ত ছিলেন তাই ওই দুই পুলিশ সদস্য আটকের বিষয়ে তিনি এখনও জানেননা। ওই দুই পুলিশ সদস্য কোথায় আছেন তাও তার জানা নেই বলে জানান ওসি।
প্রসঙ্গত, পটুয়াখালীর তেতুলিয়া নদীর ৬১ কিলোমিটার এলাকা ইলিশের অভয়াশ্রম হিসাবে চিহ্নিত করে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি অব্যাহত আছে।
Leave a reply