গত বছরের শুরু থেকে অন্তত ১২টি শিশু অপরাধীর ফাঁসি কার্যকর করেছে ইরান। এছাড়া আরও ৯০টিকে মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষার সারিতে রাখা হয়েছে।
যদিও ১৮ বছর বয়সের নিচের কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আন্তর্জাতিক আইনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তবুও শিশুদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে যাচ্ছে ইসলামী প্রজাতন্ত্রটি।
জাতিসংঘের এক স্বাধীন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ বুধবার এমন তথ্য দিয়েছেন। ফাঁসি কার্যকরে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্যে ইরান গত বছর ২৫৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
ইরানে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ তদন্তকারী জাভাইদ রেহমানের নতুন এক মূল্যায়নে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে ফাঁসিতে হত্যা করা সাতটিই ছিল শিশু।
এভাবে ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হলেও দেশটির আইনে তা সমর্থন করে যাচ্ছে।
সাবালকত্বে পৌঁছানোর পরেই যে কারও ওপর মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি প্রয়োগ করা যাবে বলে ইরানের আইনে বলা আছে।
এমনকি ১৫ বছর বয়সী কোনো বালক কিংবা ৯ বছর বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রেও এই আইন প্রযোজ্য।
ইরানের বিচার ব্যবস্থা মূলত কিসাস প্রধার অধীন। এতে শিশুরাও তাদের অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি পেতে পারে।
এভাবে জয়নাভ সেখানভান্দ নামের এক নারীকে স্বামী হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। শাস্তি কার্যকরের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৭। তবে তিনি গৃহনির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মানবাধিকার কর্মী জাভাইদ রেহমান বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা দেশগুলোর মধ্যে ইরান একটি। যদিও এই সংখ্যা গত কয়েক বছরে অনেকটা কমেছে।
Leave a reply