মানহানিকর বিবৃতি দেয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সুপ্রীম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি’র যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) খালেদা জিয়ার পক্ষে এই উকিল নোটিশটি রেজিস্টার্ড ডাকযোগে পাঠান। এতে খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি মানহানিকন বক্তব্য প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
উকিল নোটিশে যা বলা আছে :
বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি তিন বার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বিরোধী দলের নেতা হিসেবেও দুইবার নির্বাচিত হন। তিনি বৃহত্তম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি’র চেয়ারপারসন। তাঁর প্রয়াত স্বামী শহীদ জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের (Liberation struggle) একজন সেক্টর কমান্ডার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে “বীর উত্তম” উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
গত ৭ ডিসেম্বর ২০১৭, গণভবনে অনুষ্ঠিত মিডিয়া ব্রিফিংকালে আপনি বেগম খালেদা জিয়া’র বিরুদ্ধে কিছু মানহানিকর বিবৃতি দিয়েছেন যা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সম্প্রচারিত হয়েছে এবং সকল দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা এবং অনেক সামাজিক মিডিয়া আউটলেটে মুদ্রিত ও প্রচারিত হয়েছে।
আপনি বেগম খালেদা জিয়া এবং তাঁর পুত্রদের সম্পর্কে যে অভিযোগ এনেছেন তা সাজানো, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বিদ্বেষমূলক। বাংলাদেশের নির্দোষ ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি সম্পন্ন সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার সুনাম বিনষ্ট করার হীন উদ্দেশ্য পরিকল্পিতভাবে আপনি এসব অভিযোগ এনেছেন। আপনার এই মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বিদ্বেষপূর্ণ বিবৃতি বাংলাদেশের মানুষ ও বিশ্বজনের কাছে তাঁর ভাবমূর্তিকে খাটো কারার অভিসন্ধিতে তৈরি। বেগম খালেদা জিয়া এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আপনার এই মিথ্যা অভিযোগ তাঁর প্রতি অবমাননা ও ঘৃণার সৃষ্টি এবং তাকে হাস্যকর করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
আপনার এই বেপরোয়া ও বিদ্বেষপূর্ণ কটুক্তি একাধারে পরনিন্দা, অপবাদ, গ্লানিপূর্ণ ও মানহানিকর; যা বেগম খালেদা জিয়া’র সর্বোচ্চ সুনাম, সততা এবং মর্যাদাকে বিনষ্ট করার এবং দেশে ও বিদেশে তাঁকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে খাটো করার হীন উদ্দেশ্য করা হয়েছে। এই মানহানিকর বিবৃতির কারণে অপূরণীয় লোকসান ও ক্ষতি হয়েছে যার জন্য আইনত আপনি দায়ী।
উকিল নোটিশের শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বেগম খালেদা জিয়া’র নিকট আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা এবং সামাজিক মিডিয়া আউটলেটে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছে, অন্যথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ আদায়ের নিমিত্তে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply