কুমিল্লা ব্যুরো:
কুমিল্লার দেবীদ্বারে ট্রলি ব্যাগ থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার খাদঘর এলাকা থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুর্বৃত্তরা ওই কিশোরীকে হত্যার পর রাতের আধারে ওই ট্রলিতে ফেলে রেখে পালিয়ে গিয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
পুলিশ জানায়, সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে খাদঘর এলাকায় পরিত্যক্ত ট্রলি ব্যাগ দেখতে পায় হাইওয়ে পুলিশের টহল দলের সদস্যরা। এসময় ট্রলি ব্যাগটি খুলে অজ্ঞাত এক কিশোরীর মরদেহ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে দেবীদ্বার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
দেবীদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, নিহত ওই কিশোরীর শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে।
অপরদিকে কুমিল্লায় শানু বেগম নামে এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার ভোরে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের হাতিগাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত ঘাতক দেলোয়ার হোসেনকে আটক করেছে। নিহত শানু বেগম ওই গ্রামের ফরিদ মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে শানু বেগম (৪৫) তেলের পিঠা তৈরি করছিল। এসময় শানু বেগমের রান্নাঘরে প্রবেশ করে প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেন। এসময় এত ভোরে রান্নাঘরে প্রবেশ করার কারণ জানতে চাইলে দেলোয়ার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে শানু বেগমকে বটি দা দিয়ে গলায় আঘাত করে ঘর থেকে পালিয়ে যায়।
এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।
ঘাতক দেলোয়ার হোসেন ওই গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল হক জানান, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অন্য কোন কারণ আছে কি-না তা আমরা খতিয়ে দেখছি। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
Leave a reply