স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর
মাদারীপুরে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী মসজিদে আরবি পড়তে গিয়ে ইমাম কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মসজিদের ইমামকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
আটককৃত ইমামের নাম মেহেদী হাসান মোল্লা। সে বাগেরহাট জেলার রায়েন্দা থানার রাজাপুর গ্রামের আঃ জব্বার মোল্লার ছেলে। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের কুমড়াখালি এলাকার জবান খাঁন জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে চাকরি করছেন।
জানা যায়, মেয়েটি এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। প্রতিদিন সকালে এলাকার অন্য শিশুদের সঙ্গে সে গ্রামের মসজিদে ইমামের কাছে আরবি পড়তে যায়। গত অক্টোবর মাসের ১২ তারিখ সকালে অন্য শিশুদের সঙ্গে মেয়েটিও পড়তে যায়। পড়াশেষে সবাইকে ছুটি দিলেও মেয়েটিকে তার (ইমামের) থাকার কক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার কথা বলে ইমাম মেহেদী হাসান তার কক্ষে নিয়ে যায়। পরে কক্ষের দরজা বন্ধ করে ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে। এরপর গত ১৫ অক্টোবর একই ভাবে তাকে আবার ধর্ষণ করে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে মেয়েটি স্কুলে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাড়িতে এসে রাতে মেয়েটি তার নানির কাছে সব খুলে বলে। পরে এলাকার লোকজন ইমাম মেহেদি হাসান মোল্লাকে আটক করে।
চরমুগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ পরিদর্শক আবুল কালাম বলেন, রাত ৯ টার দিকে এলাকাবাসী আমাদের ঘটনাটি জানালে আমরা সেখান থেকে মেহেদী হাসান নামে একজনকে থানায় নিয়ে আসি।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি সওগাতুল আলম জানান, ‘মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ নিয়ে মামলা করা হয়েছে। মামলার আসামিকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
Leave a reply