হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে টাকার জন্য নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে পিতৃহারা ৬ বছর বয়সী ছোট শিশু জিসানকে। সেই নির্যাতনের ভিডিও তাঁর প্রবাসী মায়ের কাছে পাঠিয়ে টাকা দাবি করা হয়েছে। নির্যাতনের এ দৃশ্য সইতে না পেরে সৌদি আরব থেকে ছুটে এসেছেন মা।
নবীগঞ্জ পৌর এলাকার চরগাঁও গ্রামের সুফি মিয়ার সাথে বিয়ে হয় সুমনা বেগমের। সুফি মিয়ার মৃত্যুর পর ছোট শিশুর কথা চিন্তা করে সুফি মিয়ার ভাই স্বপন মিয়ার সাথে বিয়েতে রাজি হন সুমনা বেগম। এরপর জীবিকার তাগিদে তিনি পাড়ি জমান সৌদি আরব। সৌদি আরবে গিয়ে শান্তিতে থাকতে পারেননি গৃহবধূ সুমনা। টাকার জন্য তার সন্তানকে নির্যাতন করতো দেবর স্বামী স্বপন মিয়া। হতভাগা মা সন্তানকে নির্যাতন থেকে বাঁচাতে ধাপে ধাপে স্বপনের কাছে টাকাও পাঠান। কিন্তু নির্যাতন থামেনি। সম্প্রতি শিশু জিসানকে নগ্ন করে নির্যাতন করে সেই দৃশ্য ভিডিও করে টাকা চেয়ে তা পাঠান মায়ের নিকট। এই দৃশ্য সইতে না পেরে ১ নভেম্বর দেশে ছুটে আসে মা সুমনা।
গত মঙ্গলবার নির্যাতনের এ ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ নির্যাতনকারী স্বপন মিয়াকে আটক করেছে। সেই সাথে স্থানীয় মুরুব্বিয়ানদের সহযোগিতায় শিশু জিসানকে তাঁর মামার মাধ্যমে নানার বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাবা হারা ছোট দুই শিশুকে দাদা-দাদী আর চাচার কাছে রেখে জীবিকার তাগিদে গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরব গিয়েছিলেন সুমনা বেগম। আর যাওয়ার আগে সন্তানদের দেখাশোনার জন্য তাদের চাচাকে কিছু টাকাও দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
সৌদি আরব যাওয়ার দুই মাস যেতে না যেতেই তার সন্তানদের ওপর শুরু হয় নির্যাতন। টাকার দেওয়ার জন্য ৬ বছর বয়সী আপন ভাতিজাকে নগ্ন করে নির্যাতন করে সেই ভিডিও তার মায়ের কাছে পাঠিয়েছিল স্বপন।
Leave a reply