তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে ভারত। প্রথম ম্যাচ ৭ উইকেটে জেতেন টাইগাররা।
দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ইনিংসে ৩৮টি ডট বল খেলেছে বাংলাদেশ। ১২০ বলের ম্যাচে ৩৮ বলই ডট খেলেছেন সফরকারীরা। টি-টোয়েন্টির খেলায় অবিশ্বাস্য বটে!
সাধারণত ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে রান উৎসবে মেতে উঠেন ক্রিকেটাররা। সেখানে বৃহস্পতিবার রাজকোটে ভিন্ন চরিত্রে আবির্ভূত হলো বাংলাদেশ।
অবশ্য ব্যাটিং ইনিংসে নিয়মিত বিরতিতে ৪, ৬ মেরেছেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। তবে সিঙ্গেল কিংবা ২, ৩ রান নিতে পেরেছে সামান্যই। ভারতের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ছন্দে থাকলেও শেষটা বাজেভাবে করেছেন মাহমুদউল্লাহরা।
শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৫৩ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। পুরো ইনিংসে ডট বল ছিল ৩৮টি। বলা বাহুল্য, মাত্রাতিরিক্ত ডট বলই ডুবিয়েছে টিম টাইগার্সকে। অথচ উইকেট ছিল ব্যাটিং সহায়ক। ব্যাটিং স্বর্গে ৩৮ ডট বল খেলার নেপথ্য কারণ কী?
জবাবে ম্যাচশেষে দলের ব্যাটিং ইনিংসের ময়নাতদন্তে যাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। বরং অদ্ভুত ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, ৩৮ ডট বলের যে ব্যাপার…। একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৪০টির ওপরে ডট বল খেললে ম্যাচ জেতার সুযোগ কমে যায়। সেখানে আমরা ৩৮টি ডট বল খেলেছি। হয়তো ঠিক আছে বা নেই। তবে উন্নতির অবশ্যই সুযোগ থাকছে।
তৃতীয় ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। আগামী ১১ নভেম্বর নাগপুরে গড়াবে ‘ফাইনালি লড়াই’। এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশ না ভারত শেষ অবধি ট্রফিতে চুমু আঁকে।
Leave a reply