ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ১৮ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে।
রাতে ঝড় আঘাত হানার আগে শনিবার দুপুরে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
তখন তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৩ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দিনের মধ্যেই ১৮ লাখ লোককে ৪ হাজার ৭১টি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হবে।
সন্ধ্যায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রশাসন জানিয়েছে ইতোমধ্যে নিদিষ্ট এলাকাগুলোতে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। ঝুকিতে থাকা সবাইকে জোর করে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য বিভাগে ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ঝড় পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।
শনিবার আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর সব সেনানিবাস, ঘাঁটি, জাহাজ ও হেলিকপ্টার।
ঝুঁকিপূর্ণ খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, ভোলা ও বাগেরহাট এ মোট ৯টি এলাকার প্রতিটিতে ১০ লাখ টাকা, ২০০ টন চাল, এক লাখ টাকা করে গোখাদ্য বাবদ এবং এক লাখ টাকা করে শিশু খাদ্য বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
Leave a reply