নিয়ন্ত্রণ নেই চালের বাজারে, প্রতিনিয়তই বাড়ছে দাম। একে অন্যকে দোষারোপ করে পার পেয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তদারকি না থাকায় বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে গ্রাহককে।
আর এ জন্যে কিছুটা কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মিল গেট থেকে বস্তাপ্রতি বাড়ানো হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। যার প্রভাব পড়ছে পাইকারি পর্যায়ে। আর খুচরা পর্যায়ে এসে কেজিতে দাম বেড়ে যাচ্ছে ২ টাকা পর্যন্ত। এই অশুভ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গত এক সপ্তাহে মোটা ও চিকন সব ধরণের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে চিকন চালের দাম।
বাজারে এখন প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৬০ টাকায়। নাজির শাইল ৫৫ থেকে ৭০, পাইজাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। আর মোটা চালের দাম কেজিতে ৭ থেকে ৮ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির জন্য পাইকারি এবং মিল মালিকদের কারসাজিকে দুষছেন খুচরা বিক্রেতারা।
মিল মালিকদের দাবি, এখন চিকন চালের ধানের তীব্র সংকট। তাই দাম বাড়ছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি’র তথ্যানুযায়ী, চিকন, মাঝারি এবং মোটা চালের দাম কেজিতে ৬ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। মিল গেট থেকে প্রতিনিয়ত দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
সরকার প্রতি কেজি ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছ ২৬ টাকা। আর চাল ৩৬ টাকা। যে কারণে মোটা চালের দাম বাড়ছে বলে জানান মিল মালিকরা। তাদের অজুহাত, মৌসুম না থাকায় মিনিকেট জাতীয় ধানের সংকট চরমে।
আর সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে বাজারে আসবে নতুন আমন ধান। এর আগে, মিলগেটে দাম তদারকি করা হলে, এর সুফল পাবেন ভোক্তারা।
Leave a reply