বিমানবন্দর সড়কে লাগানো বিদেশি বনসাই গাছ নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে গত কিছু দিনে। আলোচনা-সমালোচনার মুখে এখন গাছগুলো সরিয়ে ফেলছে কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে জলে গেল প্রায় ৩ কোটি টাকা। এই পরিমাণ টাকা দিয়ে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছিল বনসাইগুলো।
শোভা বর্ধনে এখন লাগানো হচ্ছে দেশি প্রজাতির ফুল, ফল আর ভেষজ নানা গাছ। প্রকল্প বাস্তবায়নকারীদের আশা, এসব গাছের সৌন্দর্যে মুগ্ধ করবে সড়কে যাতায়াতকারীদের। তবে এর জন্য নতুন করে খরচ হচ্ছে টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কিছু বনসাই লাগানোর পর উপড়ে রাখা হয়েছে রেললাইনের পাশে।
প্রায় তিন কোটি টাকা খরচে চীন-আরব আমিরাত-কাতারসহ কয়েকটি দেশ থেকে আনা হয়েছিল ১৬০টি বনসাই। এর মধ্যে শতাধিক গাছ লাগানোও হয়েছিল বনানী ওভার পাস থেকে বিমান বন্দর চত্বর পর্যন্ত সড়কে। সরকারের পক্ষ থেকে সড়কটিকে ‘দেশের প্রথম ডিজিটাল সড়ক’ বলা হচ্ছে।
রাস্তায় মনোরোম পরিবেশের পাশাপাশি রয়েছে অত্যাধুনিক কিছু সুযোগ-সুবিধা। উন্নতমানের খাবারের দোকান, ডিজিটাল শপিং জোন, বাস কাউন্টার, যাত্রী ছাউনি এমনকি ওয়াফাই জোনও রয়েছে সড়কের দু’ধার জুড়ে।
সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বনসাই লাগানো হলেও নানা মহল থেকে এর প্রতিবাদ ও সমালোচনা হয়। দেশি প্রজাতি সুন্দর সুন্দর ফুল ও ফলের গাছ থাকার পরও বিদেশি বনসাই কেনায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরিবেশবাদীদের একাংশ বনসাইয়ের মাধ্যমে গাছের বিকৃতি ঘটানোর বিরোধী।
সড়ক ও জনপথের হয়ে গাছগুলো লাগানোর দায়িত্ব নিয়েছিল বেসরকারি ভিনায়েল গ্রুপ। সমালোচনার মুখে এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয় বনসাই সরিয়ে ফেলার।
ভিনায়েল গ্রুপের সিইও আবেদ মনসুর বলেন, আমাদেরকে প্রথমে বলা হয়েছিল বনসাই লাগাতে। আমরা বিদেশ থেকে বাছাই করে উন্নতমানের বনসাই গাছ কিনে আনি। সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ এখন সেগুলো সরিয়ে ফেলতে বলছে। তাই আমরা সরিয়ে ফেলছি। অন্যের কাছে কেনা দামে বিক্রি করে দেব।
তবে আদৌ কেনা দামে কেউ কিনবে কিনা, বা আদৌ গাছগুলো বিক্রি হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এ বিষয়ে সওজ’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান বলেন, বনসাইগুলো ওরা (ভিনায়েল) বিক্রি করে দেবে।
/কিউএস
Leave a reply