লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম। গেলো কয়েক মাসে নিত্য ব্যবহার্য বেশ কিছু ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির হার ২০ থেকে ৫০ শতাংশ। যথাযথ আইন না থাকায় কোন নিয়ন্ত্রণ নেই ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে। মুক্তবাজারের যুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ এই পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে কোম্পানিগুলো। বিশ্লেষকরা বলছেন, মানুষের সামর্থ্য বিচার করে রোগ-বালাই হয় না। তাই সরকারকে ওষুধের দামের লাগাম টেনে ধরতে হবে।
বিশৃঙ্খল জীবনাচরণ, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস’সহ নানান কারনে এসিডিটির সমস্যা থাকে প্রায় সবার। বাসার ফার্স্টএইড বক্সেও তাই এখন জায়গা করে নিয়েছে ওমিপ্রাজল বা ইসোমিপ্রাজলের মতো ওষুধ। পেঁয়াজ’সহ নানা নিত্যপণ্যের দামে উর্ধ্বগতিতে যখন সারা দেশে সবার মাথায় হাত; তখন অনেকটা আড়ালেই বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে নিত্যব্যবহার্য ওষুধের দর।
গেলো কয়েক মাসের ব্যবধানে মূল্যবৃদ্ধির হার ২০ থেকে ৫০ গুণ। স্যাকলো প্রতি পাতায় বেড়েছে ১০ টাকা, ফিনিক্স ২০ টাকা, রেব ২০ টাকা, পিকাবা আর এসিফিক্স ২৫ ও ২০ টাকা এবং ক্যামলোসার্ট ৪০ টাকা। দাম বেড়েছে এমন ওষুধের সংখ্যা প্রায় শ’খানেক। কোন কোনটির বেড়েছে দু-তিনবার।
আইনি দুর্বলতায় কোন ধরনের নোটিশ ছাড়াই আলু-পটলের মতো মূল্যবৃদ্ধি করছে কম্পানীগুলো। কেননা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, ১৯৯৪ সালের ধারা অনুযায়ী কেবল ১১৭টি ওষুধের দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তবে সে তালিকায় নেই গ্যাস্ট্রিক, হার্ট ডিজিজ কিংবা ডায়াবেটিসে নিত্য ব্যবহৃত ওষুধগুলো।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ধনী-দরিদ্র সবারই দরকার হয় এসব পথ্য। তাই, নিয়মিত কেনা হয় এমন ওষুধের দামের লাগান টানতে উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকেই।
বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ আছে ৩৬৪৯টি জেনেরিকের। যার মাত্র ৩ শতাংশের মূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আছে সরকারের।
Leave a reply