নেই দরজা-জানালা, নেই বিদ্যুৎ সংযোগও। এমনকি ঘরে থাকে না কেউ। অথচ, এসব স্থাপনাকে পুরনো স্থাপনা ও বসতঘর দেখিয়ে ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দিয়েছে মাদারীপুর জেলা প্রশাসন ও গণপূর্ত বিভাগ।
অভিযোগ আছে, শিবচরে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী নির্মাণে জমি অধিগ্রহণে দালালদের সাথে হাত মিলিয়েছে সরকারি কর্তারা; যার প্রমাণ মিলেছে প্রশাসনের তদন্তে।
তাঁতপল্লীর জন্য একটি বিশেষায়িত অঞ্চল গড়ে তুলতে মাদারীপুরের কুতুবপুর ও শরিয়তপুরের নাওডোবায় ১২০ একর জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে প্রকল্পটি প্রস্তাবনার পর থেকে বিশাল এই এলাকায় রাতারাতি শুরু হয় স্থাপনা নির্মাণ।
রাতের আধারে নির্মিত এসব শূন্য ঘরে কেউ না থাকলেও, স্থাপনা দেখিয়ে ক্ষতিপূরণ হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছে একটি চক্র। স্থানীয়রা বলছে, গাছপালা লাগানো হচ্ছে, পুকুর কাটা হচ্ছে একের পর এক।
শিবচর উপজেলায় প্রথম ধাপে ২৭টি পরিবারের নামসহ ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা তৈরি করে করে মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা। পরে এই পরিবারগুলোকে বাবদ ৩ কোটি ৫ লাখেরও বেশি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রস্তাব করে গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশল বিভাগ। এতে ক্ষোভ জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য।
তদন্তে ভুঁয়া বিলের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে অন্যের উপর দায় চাপাচ্ছে গণপূর্ত বিভাগ।
মূল কাজ শুরুর আগেই এ প্রকল্পে দফায় দফায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ক্ষুব্ধ পদ্মা পাড়ের উন্নয়ন প্রত্যাশীরা।
Leave a reply