চলতি বছরের এপ্রিল থেকে দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, যা এখনও চলমান রয়েছে। জুলাই থেকে অক্টোবরে এটি মহামারী রূপ ধারণ করে। এ সময়ে সারা দেশে কয়েক লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এর মধ্যে তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। তবে সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩৬১ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১২৯ জন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, সাধারণত নভেম্বর থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ থাকার কথা নয়। তবে এ বছর ডিসেম্বরেও প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছর ডেঙ্গু মৌসুমে এ রোগের প্রাদুর্ভাব আরও ভয়াবহ হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৩৬১ জন। এর মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে ৯৯ হাজার ৭১৪ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ৩৮৩ জন। এর মধ্যে ঢাকার ৪১টি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৩১ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ১৫২ জন। ২৪ ঘণ্টায় (২ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় থেকে ৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৯ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৯ জন, ঢাকার বাইরে ৪০ জন।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুসারে এ বছর ডেঙ্গু সন্দেহে ২৬৪ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২০৪ জনের মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করে ১২৯ মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (হেলথ ইমার্জেন্সি অপরেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম) ডা. আয়েশা আক্তার জানান, নিশ্চিত ডেঙ্গুজনিত মৃত্যু ঘটেছে এমন ৭১ জন মারা গেছে আগস্টে। জুলাইয়ে ৩৫ জন, জুনে ৬ জন, এপ্রিলে ২, সেপ্টেম্বরে ১২ ও অক্টোবরে ৩ জন।
Leave a reply