মিডিয়াতে কাজ করার অদম্য স্বপ্ন তার। আর সেই লক্ষ্যে ময়মনসিংহ ছেড়ে ছুটে আসতে হবে রাজধানী ঢাকায়।
কিন্তু ঢাকায় এক রাত থাকারও সামর্থ্য নেই। এমনকি ঢাকায় আসার বাসভাড়াও নেই তার কাছে।
তবু অদম্য সেই স্বপ্নের হাতছানিতে বন্ধুদের কাছ থেকে ২৫৭ টাকা জোগাড় করেই ঢাকার উদ্দেশে বাসে চড়লেন সেই যুবক।
পুরান ঢাকার নবাবপুরের একটি মেসে কোনোমতে ঠাঁই নিয়ে রাজধানীর অলিগলি ঘুরে বেড়ালেন। টাকা খরচ হয়ে যাবে দেখে মাঝেমধ্যে না খেয়েও দিন কাটিয়ে দেন ।
এভাবেই পরিশ্রম আর নিরলস চেষ্টায় একদিন শোবিজে পা রাখার জায়গা হয় তার। এর পর নানা চড়াই-উতরাই শেষে আজ তিনি ঢাকাই ছবির একজন সফল চিত্রনায়ক। উপহার দিয়েছেন ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা। রূপালি পর্দার চমক হয়ে গেছে ইতিমধ্যে।
‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। রোববার প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে সেরা অভিনেতার পুরস্কারও গ্রহণ করেছেন! সিনেপ্রেমীরা তাকে আরিফিন শুভ নামেই চেনেন।
ঢাকাই ছবির হালের জনপ্রিয় অভিনেতা আরিফিন শুভর পেছনের ইতিহাস এটাই। ২০০৭ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় ক্লোজআপ টুথপেস্টের একটা টিভিসি করে আলোচনায় চলে আসে শুভ। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
২০১০ সালে খিজির হায়াত খান পরিচালিত ‘জাগো’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শুভর বড় পর্দায় অভিষেক। ২০১২ সালের প্রথম দিকে মোস্তফা কামাল রাজের ‘ছায়াছবি’ নামক একটা রোমান্টিক সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এর পর পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী, ভালোবাসা জিন্দাবাদ, মন বোঝেনা ছবির শুটিং করেন। ২০১৩ সালে ইফতেখার চৌধুরীর ‘অগ্নি’ ছবিতে অভিনয় করেন। প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন আরিফিন শুভ।
নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে শুভ বলেন, ‘ঢাকা অ্যাটাক সিনেমার পুরো টিমসহ আমার দর্শকদের জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা। জুরিবোর্ড আমাকে যোগ্য মনে করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। শুধু্ মনে হচ্ছে এখন থেকে দায়িত্বটা আরও অনেক বেড়ে গেল।’
বর্তমানে ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমায় কাজ করছেন শুভ।
Leave a reply