রিয়েল টাইম এয়ার কোয়ালিটির তালিকায় আজ ঢাকার বাতাস মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিইউএইচও) ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশবিষয়ক সংস্থা ইপিএর হিসাবে কোনো একটি শহরের বায়ুর মানের সূচক ২০০-এর বেশি হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আজ মঙ্গলবার ঢাকার সূচক ২০৯। যা সবচেয়ে মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর নির্দেশনা প্রদান করেন।এরআগে গতকাল সোমবার এই সূচকে ছিলো ১৭৩।
এদিকে সূচক ২০০ পার হলে স্বাস্থ্যঝুকির জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এসময় শিশু, বৃদ্ধ সবার উপর এর প্রভাব পরে। ঘরের বাইরে বের হওয়াটা ঝুকিপূর্ণ।
অপরদিকে সবচেয়ে দূষিত বাতাসের তালিকায় গত ২৫ নভেম্বর দিল্লিকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান ছিল প্রথম। ঢাকার বায়ুদূষণ পরিস্থিতি সম্পর্কে গবেষকেরা বলছেন, নভেম্বর মাসে এ পর্যন্ত আট দিন (দিনের বেশির ভাগ সময়) ঢাকা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর। তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহ ধরে ঢাকার মধ্যে বায়ুর মান সবচেয়ে খারাপ ছিল কারওয়ান বাজার এলাকায়। এরপরই মোহাম্মদপুর ও গুলশান এলাকা। এর বাইরে উত্তরা, মিরপুর ও নর্দ্দা এলাকার বায়ুর মানও বেশ খারাপ। এলাকাভিত্তিক বায়ুর মানের রকমফের থাকলেও সামগ্রিকভাবে রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর বলে জানান গবেষকেরা।
বায়ুদূষণের কারণে ঢাকা শহরে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করেছে। আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে অ্যাজমা, সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমুনারি ডিজিজ) ও এআরআই (অ্যাকিউট রেসপারেটরি ইনফেকশন) রোগ। গত ৫ বছরের ব্যবধানে অ্যাজমা আক্রান্তের হার বেড়েছে ২৪ গুণ এবং এ রোগে মৃত্যু হার বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। একইভাবে সিওপিডি আক্রান্তের হার বেড়েছে প্রায় ৫০ গুণ এবং মৃত্যু হার ১৯ গুণ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
বাংলাদেশে বায়ুদূষণের উৎস বাড়ছে। ২০১৩ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে দেশের ইটভাটাগুলোর ওপরে একটি জরিপ করা হয়। তাতে দেখা যায়, দেশে ইটভাটার সংখ্যা ৪ হাজার ৯৫৯। পরে ২০১৮ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে জরিপ চালিয়ে দেখা যায়, ইটভাটার সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৯০২ হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৮৭টি ইটভাটা ঢাকা বিভাগের মধ্যে গড়ে উঠেছে। ওই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে দেশে মোট যানবাহনের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৭। ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয় ৬ লাখ ১৯ হাজার ৬৫৪।
Leave a reply