বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির আশীর্বাদ প্রতিনিয়ত মানুষ উপলব্ধি করছে। বেড়ে চলেছে নিত্যনতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এবং মেশিন লার্নিং উভয়ই একে অপরের সমর্থক হয়ে উঠেছে। বাড়ছে এর চাহিদা সে সঙ্গে চাহিদা বাড়ছে এ খাতে কর্মজীবীদের।
সম্প্রতি পেশাজীবীদের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট লিংকড ইন একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, চাকরির বাজারে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বিশেষজ্ঞদের চাহিদাই বেশি।
চাকরির বাজার অনুযায়ী ‘ইমার্জিং জবস রিপোর্ট’ নামের ওই তালিকা তৈরি করা হয়। তালিকায় দেখা যায়, বিগত ৪ বছরে এআই প্রকৌশল খাতে চাকরির পরিমাণ ৭৪ শতাংশ বেড়েছে বলেই আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বিশেষজ্ঞদের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। এ খাতের প্রকোশলীদের মূলত মেশিন লার্নিং, ডিপ লার্নিং, টেন্সরফ্লো, পাইথন এসব বিষয়ে স্পেশালিস্ট হতে হয়।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রোবটিকস প্রকৌশলীরা। এ খাতে চাকরির পরিধি বেড়েছে ৪০ শতাংশ। রোবটিক ইন্ডাস্ট্রি দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে এক সময় এ খাতের খুবই জনপ্রিয় রোবটিক সলুশন ছিল ইউআইপাথ যার ভ্যালু ছিল ৭ বিলিয়ন ডলার।
চাহিদার দিক দিয়ে ডেটা সায়েন্টিস্টরা রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। এ খাতে চাকরির সুযোগ বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। ডেটা সায়েন্স আরেকটি ক্ষেত্র যা তিন বছর ধরে চলমান ইমার্জিং জবসের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। এটির বিশেষত্ব হল পুরো বিশ্বজুড়ে উল্লেখযোগ্যভাবে এর ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তালিকায় আরও রয়েছে বিশ্বব্যাপী চাহিদাসম্পন্ন জাভা স্ক্রিপ্ট ডেভেলপার। এ খাতে চাকরির পরিধি বেড়েছে বাৎসরিক ২৫ শতাংশ।
এ ছাড়াও স্টাক ইঞ্জিনিয়ার, ডেটা ইঞ্জিনিয়ার, নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি এক্সপার্ট, ব্যাক অ্যান্ড ডেভেলপারস, ক্লাউড ইঞ্জিনিয়ার ও চাকরির ক্ষেত্রও অনেক বেড়েছে।
উল্লেখ্য ইমার্জিং জবস রিপোর্টে শীর্ষে থাকা ১৫ চাকরির মধ্যে অর্ধেকই ইনফরমেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। লিঙ্কড ইন জানিয়েছে, গত ৫ বছরে কম্পিউটার সফটওয়্যার, ইন্টারনেট ও ইনফর্মেশন টেকনোলজি ও আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বিশেষজ্ঞদের ক্যারিয়ারে সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে ৭৪ শতাংশ।
Leave a reply