শ্বশুরবাড়িতে সৃজিতের গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে বিতর্ক, মুখ খুললেন দেব-নুসরাত

|

নানা গুঞ্জনের পর ঠিকই গাঁটছড়া বেঁধেছেন কলকাতার জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জি ও রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে এসে জামাই আদর পেয়েছেন সৃজিত। আরও অনেক রেসিপির সাথে গরুর মাংস দিয়ে ভুরিভোজ করেছেন। এই ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করার পর তার ওপর অনেক ভারতীয় নাগরিক ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কেউ কেউ তাকে সনাতন ধর্মও ত্যাগ করতে বলেছেন। তবে এর বিপরীত মতও আছে।

এবার সৃজিতকে নিয়ে মুখ খুললেন কলকাতার জনপ্রিয় নায়ক ও তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য দীপক অধিকারী যিনি ভক্তদের কাছে দেব নামে পরিচিত। বাংলাদেশে এসে শ্বশরবাড়িতে গরুর মাংস দিয়ে ভুরিভোজ করায় সৃজিতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেব।

টালিউডের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও তৃণমূল এমপি নুসরাত জাহানও পরিচালক সৃজিতের গরুর মাংস খাওয়ার জন্য ‘good Done’ বলে মন্তব্য করেছেন।

সম্প্রতি বিয়ের পর জেনেভায় হানিমুনে যান সৃজিত-মিথিলা। হানিমুন সেরে সরাসরি বাংলাদেশে পাড়ি দেন তারা। প্রথমবার শ্বশুরবাড়িতে জামাই আদর পেয়ে বেজায় খুশি ছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন শ্বশুরবাড়ির বাহারি রান্নার ছবি। মেনুতে ছিল ঝিরি ঝিরি আলুভাজা, লটে শুঁটকি, পাবদা মাছ, মুরগির ঝোল এবং বাঁধাকপি দিয়ে গরুর গোস্ত।

ক্যাপশনে সৃজিত লেখেন, ‘শ্বশুরবাড়ির প্রথম অফিসিয়াল ভুরিভোজ…।’

এরপর সৃজিতের এই টুইটকে ঘিরেই শুরু হয় ‍তুমুল বিতর্ক। সৃজিতকে উদ্দেশ্য করে একজন লেখেন, ‘হিন্দু নামের কলঙ্ক আপনি। আগে আপনাকে (সম্মান) করতাম। কিন্তু এই পোস্ট পড়ার পর থেকে আপনাকে ঘৃণা করি। আপনি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করুন। আই হেট ইউ।’

অবশ্য সেই টুইটার ব্যবহারকারীকে ছেড়ে কথা বলেননি সৃজিত। তিনি পাল্টা লেখেন, ‘হিন্দু ধর্ম নিয়ে কথা আপনার মতো অশিক্ষিতের মুখে বেমানান। ঋক বেদ, মনুস্মৃতি ও গৃহসূত্রর কিছু শ্লোক দেবো, খাওয়াদাওয়া নিয়ে, রোজ সকালে কান ধরে ছাতে দাঁড়িয়ে মুখস্থ করবেন। ভদ্রভাবে বোঝালাম, নয়তো মনে রাখবেন বাইশে শ্রাবণের সংলাপ কিন্তু আমারই লেখা।’

তবে সৃজিতের শ্বশুরবাড়ির সুস্বাদু খাবারের প্রশংসাও করেছেন কেউ কেউ। একজন লিখেছেন, ‘আমি আমার কষ্টার্জিত টাকায় গরুর মাংস খেলাম না কুমিরের মাংস খেলাম না অ্যাভোকাডো খেলাম সেটা তো আমার ব্যাপার।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘ভাই, তোমাকে হিন্দু ধর্ম নিয়ে পাঠ উদ্দিষ্ট ব্যক্তি ভালমতো দিয়েছেন এ নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে একটা পরামর্শ নাও। যে ব্যক্তিকে ঘৃণা করবে, সমালোচনা করবে তার সমতুল্য জ্ঞানী হবে বা তার জ্ঞানের ছিটেফোঁটা অর্জন করে আসবে। নইলে উল্টো বাঁশ সামলানো বেশ কষ্টকর।’

তবে সৃজিতের বক্তব্যের বিরোধিতাও করেছেন কয়েকজন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আপনার যা ইচ্ছা আপনি খেতেই পারেন। কিন্তু বেদ-এ এসব কিছু লেখা নেই। দয়া করে বেদ নিয়ে ভুল তথ্য ছড়াবেন না।’


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply