কানাডার ভ্যাংকুভার থেকে রওয়ানা দিয়ে এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইট যাবে একই দেশের হোয়াইটহর্স এলাকায়। যাত্রাপথে সময় লাগার কথা ২ ঘণ্টার মতো। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গন্তব্যে নামতে না পেরে বাধ্য হয়ে বিমানটি অবতরণ করে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায়।
সেখানে নামার পর যাত্রীরা পড়েন অন্যরকম বিড়ম্বনায়। ডমেস্টিক ফ্লাইটে উঠার কারণে ৮৮ জন যাত্রী মধ্যে কারো সাথেই তাদের পাসপোর্ট ছিলো না। কিন্তু ভিনদেশে বিমান অবতরণ করার পর বিমানবন্দর ত্যাগ করতে হলে প্রয়োজন পাসপোর্টের। আবার মূল গন্তব্যে ফেরত যাওয়ারও উপায় নেই আবহাওয়ার কারণে।
বহু ঝক্কি ঝামেলার পর অবশ্য মার্কিন বর্ডার পেট্রোল বিভাগ যাত্রীদের বিশেষ ব্যবস্থায় বিমানবন্দর ত্যাগের ব্যবস্থা করে। রাতটি আলাস্কার এক হোটেলে কাটিয়ে পরদিন আবার গন্তব্য হোয়াইটহর্সের উদ্দেশে রওয়ানা দেয় বিমান।
কিন্তু কপাল মন্দ! আবহাওয়া তখনও ঠিক হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে আবার ভ্যাংকুভারে ফেরার পথ ধরেন পাইলট। ২ ঘণ্টার যাত্রাপথ ৩৬ ঘণ্টা পরও পাড়ি দেয়া হলো না বিমানটির! অবশ্য পরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার পর আরেক ফ্লাইটে হোয়াইটহর্স পাঠানো হয় যাত্রীদের।
গত ১৬ ডিসেম্বরের এই ঘটনায় যাত্রীরা এয়ার কানাডা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন এই বলে যে, তারা আমাদেরকে কিছুই বলেনি কী ঘটছে। থিয়া রজার্স নামে এক যাত্রী সিবিসি’কে বলেছেন, ‘আমার একমাত্র সমালোচনা হলো যাত্রায় কেন দেরি হচ্ছে, আসলে কী ঘটছে তারা আমাদেরকে কিছুই জানায়নি।’
Leave a reply