ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি-সা.সম্পাদককে গ্রেফতারের দাবি

|

ডাকসু’তে ভিপি নুরসহ অন্যদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে মূল অভিযুক্ত করে তাদের গ্রেফতারের দাবি করেছে সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এ ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিনজন গ্রেফতার করাকে লোক-দেখানো আখ্যা দিয়েছে তারা। তাদের অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানীর ‘প্রত্যক্ষ মদদ ও হস্তক্ষেপেই’ ডাকসু ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আমাদের ওপর হামলা করেছিল। এই ঘটনার পর আমি প্রক্টর স্যারকে অন্তত দশবার ফোন করি। এর মধ্যে তিনি তিনবার আমার ফোন ধরেছিলেন তিনবারই তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছিলেন একপর্যায়ে তিনি এও বলেছিলেন, তুমি ডাকসুর কেউ না, ওখানে কেন গিয়েছ? আমি তাকে বলেছিলাম, শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো জায়গায় যাওয়ার অধিকার আমার আছে। এটি বলার পরও প্রক্টর আমাকে গালিগালাজ করেছিলেন। বারবার কাকুতি-মিনতি করার পরও তিনি ঘটনাস্থলে আসেননি আমাদের ওপর যখন দ্বিতীয় দফা হামলা হয়, তখন তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। অর্থাৎ ইচ্ছাকৃতভাবেই তিনি আমাদের মার খাইয়েছেন। প্রথম দফা হামলার পর যদি প্রক্টর আমাদের উদ্ধার করতেন, তাহলে আজকে নির্মম নির্যাতনে আহত হয়ে আমাদের ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হতে হতো না। আমাদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই দলকানা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করছি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে প্রক্টর গোলাম রব্বানী সরাসরি কিছু বলেননি। হামলার ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কমিটি গঠন হয়েছে সেখানেই সবার বক্তব্য তুলে ধরার পরামর্শ দেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দামের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাশেদ। বলেন, যারা আমাদের পিটিয়ে আহত করেছে, তাদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে৷

সনজিত ও সাদ্দামকে বাঁচাতেই ডাকসু ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply