দুদিন আগে পালিত হয়ে গেল বড়দিনের উৎসব। গুণে গুণে আর মাত্র চার দিন পার করলেই ১৯ এর জায়গায় ২০ লিখবে বিশ্ববাসী।
এদিকে ২০১৯ এ ফিরে দেখা শুরু করেছেন অনেকেই। বছরজুড়ে কে বা কারা ছিলেন আলোচনায় সেসব নিয়ে চলছে পোস্টমর্টেম। ক্রিকেটেও এর ব্যতিক্রম নয়।
বছরজুড়ে কার কেমন পারফরম্যান্স তার চুলচেড়া বিশ্লেষণে নেমেছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা।
এই বছরেই অনুষ্ঠিত হয়েছে অসাধারণ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ যেখানে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। এছাড়া সারা বছর অনেক ক্রিকেটারের দুর্দান্ত দাপটে গ্যালারির দর্শকরা হৈ হুল্লোড়ে মেতেছেন।
সারা বছরের পারফরম্যান্স বিচার করে ভারতের জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দবাজার বছরের সেরা ওয়ান ডে একাদশ তৈরি করেছে।
সেখানে তিন ভারতীয়র সঙ্গে ঠাঁই করে নিয়েছেন এক পাকিস্তানি ক্রিকেরটারও। স্বভাবই ঠাঁই পেয়েছেন সাকিব আল হাসান।
চলুন দেখে নিই আনন্দবাজারের স্পোর্টস বিভাগের বিশ্লেষণে কেমন হলো বর্ষসেরা দল-
রোহিত শর্মা: বর্ষসেরা দলে ‘হিটম্যান’ রোহিত শর্মাকে না রাখলেই নয়। ওয়ানডে ক্রিকেটে এক ক্যালেন্ডার বর্ষে মোট রানে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালিকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন রোহিত। বছরজুড়ে ২২ গজে দাপট দেখিয়েছেন এই ক্রিকেটার। বিশ্বকাপে পাঁচটা সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। এক বছরে ২৮টি ম্যাচে সাতটি শতরানসহ মোট ১৪৯০ রান করেছেন। গড় ৫৭.৩০ এবং স্ট্রাইক রেট ৮৯.৯২। ২০১৯-এর সেরা একাদশে তাই রোহিতের স্থান পাকাপোক্ত বলাই চলে।
শেই হোপ: রান সংগ্রহের কারণে রোহিতের পরেই বর্ষসেরাতে স্থান করে নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৪ বছরের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান শেই হোপ। রোহিতের মতো হোপও ২৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে মোট রান ১৩৪৫ করেছেন। যার গড় ৬১.১৩ এবং স্ট্রাইক রেট ৭৭.৯১।
বিরাট কোহালি: চলতি বছর ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৬টি ম্যাচ খেলে মোট রান ১৩৭৭ করেছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। গড় ৫৯.৮৬ আর স্ট্রাইক রেট ৯৬.৩৬। ২০১৯ সালের সেরা একাদশে বিরাটকে ছাড়া ভাবতে পারছে না আনন্দবাজার পত্রিকা।
বাবর আজম: ভারতীয় পত্রিকায় সেরা একাদশে ৪ নম্বরে ঠাঁই করে নিল পাকিস্তানি ক্রিকেটার বাবর আজম। অবশ্যই নিজের যোগ্যতাই সেরা একাদশে স্থান পেয়েছেন তিনি। এ বছরে ২০ ওয়ানডে ম্যাচে ১০৯২ রান করেছেন বাবর আজম। যার গড় ৬০.৬৬ এবং স্ট্রাইক রেট ৯২.৩০।
সাকিব আল হাসান: ভারতীয় জুয়াড়ির সঙ্গে কথপোকথনের বিষয়টি আইসিসিকে না জানানোয় এক বছরের জন্য যে কোনো ফরম্যাটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত সাকিব আল হাসান। তাই মাঠে তাকে আপাতত না দেখা গেলেও বিশ্বকাপে অতিমানবীয় পারফরম্যান্স দেখিয়ে আলোচনায় রয়েছেন তিনি। যে কারণে আনন্দবাজার পত্রিকা সাকিবকে বিশ্বের সেরা একাদশের তালিকায় না রাখতে ভুল করেনি। চলতি বছরে ১১টা ওয়ানডে ম্যাচে তার রান ৭৪৮ এবং উইকেট ১৩টি।
বেন স্টোকস: ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে রাখা হয়েছে সাকিবের পরেই। ২০১৯ সালে দেশের হয়ে ২০ ম্যাচে রান করেছেন ৭১৯ যার গড় ৫৯.৯২। এর সঙ্গে ১২টি উইকেট জমিয়েছেন ঝুলিতে।
জস বাটলার: সতীর্থ বেন স্টোকসের পরেই বর্ষ সেরা একাদশে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে জায়গা দিয়েছে আনন্দবাজার। স্টোকসের মতোই ২০১৯ সালে ২০ ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৪৭.৬৪ গড়ে ৬৬৭ রান করেছেন তিনি। যার স্ট্রাইকরেট ১৩৫.৫৬! হার্ট হিটার ব্যাটসম্যান এবং অসাধারণ ফিল্ডার বাটলার থাকছেন সাত নম্বরে।
প্যাট কামিন্স: এই মুহূর্তে আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে রয়েছেন অজি পেসার প্যাট কামিন্স। ২০১৯ সালজুড়ে তার বিধ্বংসি বোলিং দেখেছে বিশ্ব। ওয়ানডেতে পাঁচ নম্বরে থাকা এই অজি পেসার ১৬ম্যাচে ৩১ উইকেট নিয়েছেন যা ছিল অজিদের মধ্যে সর্বোচ্চ। আইপিএলে সাড়ে ১৫ কোটি টাকায় দলে ভিড়েছেন তিনি। তাই বর্ষ সেরা একাদশে কামিন্সকে পেস আক্রমণের অন্যতম অস্ত্র হিসেবেই ভাবা হচ্ছে।
রশিদ খান: বর্ষসেরা একাদশে ঠাঁই পেয়েছেন আফগান স্পিনার রশিদ খান। ঘূর্ণি বলে ব্যাটসম্যানদের কুপোকাত করার পাশাপাশি লোয়ার অর্ডারে ভালো ব্যাট চালাতে জানেন। তাই তাকেও রাখা হয়েছে ২০১১৯ সালের সেরা একাদশে
ট্রেন্ট বোল্ট: চলতি বছরে ২০ ম্যাচে বল করে ৩৮ উইকেট নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের এই পেসার। ২৩.৯৭ রানের বিপরীতে একটি করে উইকেট। বাঁহাতি এই কিউই পেসারকেও রাখা হয়েছে ।
যশপ্রীত বুমরাহ: আইসিসি তালিকায় সেরা ভারতীয় বোলার যশপ্রীত বুমরাহ। তবে ইনজুরিগত কারণে মাঠের বাইরেই বেশি দেখা যাচ্ছে তাকে। তবে যখনই ফেরেন বিপক্ষ দলের ত্রাসে পরিণত হন। তাই তাকে ছাড়া ২০১৯ এর সেরা একাদশের বোলিং ডিপার্টমেন্টকে অসর্ম্পূণ ভাবছে আনন্দবাজার।
Leave a reply