জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের ভাদসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একে আজাদ হত্যার ৩ বছর পর সিআইডি পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত। রবিবার জয়পুরহাটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইকবাল বাহার চৌধুরী এই অফিযোগ পত্র আমলে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনাকারী হাতেম আলীসহ পলাতক ৫ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার অভিযোগ পত্রে অভিযুক্তরা হলেন- যুবলীগ নেতা মুন্না পারভেজ, সৈকত হোসেন, আঃ হাকিম, সাদ্দাম হোসেন, হাবিব মিয়া, রাজিব হোসেন, শাহিনুর ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল আলীম, নাজিম, তৌহিদ ইসলাম, সোহাগ হোসেন, ভাদসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জয়পুরহাট জেলা পরিষদের সদস্য হাতেম আলী। এদের মধ্যে হাতেম আলীসহ ৫ আসামি পলাতক রয়েছে।
এদিকে আসামি সোহেল রানা ও মনির হোসেন আগেই পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। নিহত দুই আসামিকে মামলার অভিযোগ থেকে বাদ দেওয়া হয়।
নিহত চেয়ারম্যানের ছোট ভাই এবং মামলার বাদী এনামুল হক কাস্মির জানান, দীর্ঘদিন পরে হলেও মামলার মুল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল এবং তা গ্রহন করায় তারা কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন।
মা সাহারা বেগম জানান, তার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, অথচ হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেফতার করা হয়নি।
নিহতের ছোট ভাই ভাদসা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন স্বাধীন জানান, তার ভাই হত্যাকারীর পরিকল্পনাকারী এখনো আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সভাপতি এবং জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে বহাল রয়েছেন বাকি ৪ জন পলাতক রয়েছেন। যেহেতু তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করা হয়েছে এখন তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচার কাজ শুরু করা হোক।
Leave a reply