মধ্যপ্রাচ্যে চলমান যুদ্ধ উত্তেজনার মধ্যে, প্রশ্ন উঠেছে ইরানের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে। ইরানকে ঘিরে থাকা প্রতিবেশি দেশগুলোতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিকে দেশটির জন্য সবচেয়ে বড় দুর্বলতা মনে করা হচ্ছে। তবে টানা কয়েক দশকের নিষেধাজ্ঞার পরও স্থল, আকাশ ও সমুদ্রসীমায় প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা চাহিদার সবটুকুই অর্জন করেছে ইরান। দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দেশটিকে করেছে শক্তিশালী।
ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অজেয় ভূমিকা পালন করছে রুশ নির্মিত ক্ষেপনাস্ত্র এস থ্রি হানড্রেড।
সুখোই থার্টি, মিগ টুয়েন্টি নাইনের মতো ৫শ’র বেশি যুদ্ধবিমান রয়েছে ইরানের বিমানবহরে। তবে নিজস্ব প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান তৈরী করেই চাহিদা পূরণের লক্ষ্য দেশটির।
দেশটির সমরভান্ডারে রয়েছে বাভার, এম আই টুয়েন্টি থ্রি’র মতো এমন ১২শ’র বেশি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যা ইরানের সামরিক শক্তির অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। ইরানকে ঘিরে রয়েছে ২০টির বেশি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি। মূলত সেসব ঘাঁটি এবং ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনা নিয়েই সাজানো হয়েছে ইরানের সামরিক শক্তি।
ইরানের সামরিক বাহিনীতে রয়েছে গাদর, আশুরার মতো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। যেগুলো প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এছাড়াও রয়েছে ফজর, সেইজির মতো বিভিন্ন স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র যেগুলো পরমানু অস্ত্র বহনে সক্ষম।
সামরিক সক্ষমতার তালিকায় ১৪ নাম্বারে থাকা ইরানের ট্যাংক বহরে রয়েছে দেড় হাজারের বেশি ট্যাংক। সাজোয়া যানও রয়েছে ২ হাজারের ওপরে।
বিশাল জলসীমা থাকায় ডুবোজাহাজ ইরান নৌবাহিনীর প্রধানতম শক্তি। ৩৪টি সাবমেরিন রয়েছে ইরান। অন্যদি পেট্রোল বোট রয়েছে ৮৮টি।
ইরানের সামরিক বাহিনী মুলত দুই ভাগে বিভক্ত। নিয়মিত বাহিনীতে সদস্য সংখ্যা ৫ লাখ ২৩ হাজার। অন্যদিকে বিপ্লবী বাহিনীতে রয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার সদস্য। সমরাস্ত্রের বেশিরভাগই নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরী।
ইরানের সামরিক বাহিনীতে সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ মনে করা হয় বিপ্লবী বাহিনী আর ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) কে। এই বাহিনীতে রয়েছে কুদস ফোর্স এবং বাসিজ নামে পৃথক শাখা। মূলত পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা করাই এই বাহিনীর মুল কাজ। হিজবুল্লাহ, হামাস কিংবা হুতি বিদ্রোহীদের মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা দেয় কুদস ফোর্স।
Leave a reply