অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক ভয়াবহ দাবানলে পুড়ে মারা গেছে লাখ লাখ বন্যপ্রাণী। রেহাই পাচ্ছে না গবাদিপশুও। দাবানলে অনেক উপকূলবর্তী কৃষকের মৃত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
আর এসব ভয়াবহতার মধ্যেও বহু বন্যপ্রাণীকে উদ্ধার করে সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন স্টিভ আরউইনের পরিবার।
স্টিভের মেয়ে বিন্দি আরউইন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এখন পর্যন্ত ৯০ হাজারেরও বেশি বন্যপ্রাণিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে এবিসি নিউজ।
সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে, কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে ‘অস্ট্রেলিয়া জু’ নামে একটি চিড়িয়াখানা পরিচালনা করে থাকে আরউইন পরিবার। দাবানলে আক্রান্ত বহু বন্যপ্রাণিকে এই চিড়িয়াখানায় নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, অস্ট্রেলিয়ায় এক বেসরকারি টেলিভিশনে উপস্থাপনা করতেন স্টিভ আরউইন। কুইন্সল্যান্ডে ‘অস্ট্রেলিয়া জু’ নামের চিড়িয়াখানাটি স্থাপন করেন তিনি। জীবদ্দশায় বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে অবদান রাখায় বিশ্বজুড়ে সুনাম কুড়িয়েছিলেন স্টিভ। ২০০৬ সালে তার আকস্মিক মৃত্যু হয়। এরপর চিড়িয়াখানার দেখভালের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেয় তার পরিবার।
ওলি নামের একটি প্লাটিপাসের শুশ্রুষার ছবি দিয়ে স্টিভ আরউইনের ছেলে রবার্ট আরউইন গত বৃহস্পতিবার ইন্সট্রাগ্রামে লেখেন, অস্ট্রেলিয়ার ভয়াবহ দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও বণ্যপ্রাণীদের জন্য আমাদের হৃদয় কাঁদছে। আমাদের ওয়াইল্ডলাইফ হাসপাতালে ৯০ হাজারতম রোগী ছিল ওলি। বর্তমানে এটি সুস্থ আছে।
প্রয়াত স্টিভের মেয়ে বিন্দি আরউইন জানিয়েছেন, ভয়াবহ দাবানলের সময়ে বেশ ব্যস্ত রয়েছি আমরা। বন্যপ্রাণিদের জীবন বাঁচিয়ে সেবা করে আমরা বাবা-মা ও দাদীর সম্মান বাড়িয়ে তুলব।
এবিসি নিউ জানিয়েছে, এক হাজার একরেরও বেশি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই চিড়িয়াখানাটি এখন পর্যন্ত দাবানল থেকে সুরক্ষিত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়া। কিছুতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না দেশটির সরকার।
এরইমধ্যে দাবানলে প্রাণ গেছে অন্তত ১৮ জনের। আর ৫০কোটি প্রাণি নিহতের খবর প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম।
বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়েছে কোয়েলা, ক্যাঙ্গারু ও প্লাটিপাসের মতো প্রাণী। এমতাবস্থায় আগুন নিয়ন্ত্রণে তিন হাজার সেনা মোতায়েন করেছে দেশটির সরকার।
Leave a reply