আবারও শীর্ষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এর আগে চট্টগ্রামকে টপকিয়ে শীর্ষে উঠে গিয়েছিল রাজশাহী। মঙ্গলবার ইমরুল কায়েসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটের দাপুটে জয়ে বিপিএল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে যায় চট্টগ্রাম। দলের জয়ে ৪১ বলে ৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ইমরুল কায়েস।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে লিটন দাসের ফিফটিতে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান করে রাজশাহী রয়েলস। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ইমরুল কায়ের ফিফটিতে ভর করে নির্ধারিত ওভারের ৯ বল আগেই নিজেদের ১১তম ম্যাচে অষ্টম জয় নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম।
দলীয় ১৬ রানে সাজঘরে ফেরেন তরুণ ওপেনার আফিফ হোসেন। তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটনের সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়তেই বিপদে পড়েন ইরফান শুক্কুর। ইনিংসের শুরু থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে ৪০ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ফিফটি তুলে নেন লিটন দাস। কিন্তু ফিফটি গড়ার পর নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি রাজশাহীর এ ওপেনার। ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ৪৫ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৬ রান করে ফেরেন লিটন।
চলতি বিপিএলে এটা তার দ্বিতীয় ফিফটি। এর আগে খুলনা টাইর্গাসের বিপক্ষে ৫৮, সিলেট থান্ডার্সের বিপক্ষে অপরাজিত ৪৪ আর ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। ২ উইকেটে ৯৪ রান করা রাজশাহী পরের ৭২ রানে হারায় ৬ উইকেট। ৫৬ রান করে ফেরেন লিটন।
ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলে উইকেটে বেশি সময় স্থায়ী হতে পারেননি অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। মাত্র ১০ বলে দুই ছক্কা আর এক চারের সাহায্যে ২০ রান করে আউট হন এ ক্যারিবীয়ান। মাত্র ৪ ও ১ রানে ফেরেন রবি বোপারা ও অলক কাপালি। ২৪ বলে ২৮ রান করে আউট হন শোয়েব মালিক।
ইনিংসের একেবারে শেষ বলে রান আউট হন ফরহাদ রেজা। তার আগে মাত্র ৮ বলে দুই ছক্কা আর এক চারের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রেজা। ইনিংসের শেষ দিকে তার ব্যাটিং তাণ্ডবে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান তুলতে সক্ষম হয় রাজশাহী।
রাজশাহীর বিপক্ষে ১৬৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে সতীর্থ লেন্ডল সিমন্সকে সঙ্গে নিয়ে ৪.১ ওভারে ৩৫ রানের জুটি গড়েন ক্রিস গেইল।
চট্টগ্রামের হয়ে বিপিএলের চলতি আসরের ৩৬তম ম্যাচে প্রথম খেলতে নেমে ব্যাটিং তাণ্ডব শুরু করেন গেইল। কিন্তু মাত্র ১০ বলে তিন ছক্কা আর এক চারের সাহায্যে ২৩ রান সংগ্রহ করা গেইল নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি।
রাজশাহী রয়েলসের পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন চট্টগ্রামের এ ক্যারিবীয় ওপেনার।
এরপর তিনে ব্যাটিংয়ে নামা জাতীয় দলের ওপেনার ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৭৭ রানের জুটি গড়েন অন্য ওপেনার ল্যান্ডন সিমন্স। দলীয় ১১২ রানে সাজঘরে ফেরেন অন্য ওপেনার ল্যান্ডন সিমন্স। রান আউট হওয়ার আগে ৪৩ বলে চারটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৫১ রান করেন চট্টগ্রামের এ ক্যারিবীয় ওপেনার।
মাত্র ১০ রানে সাজঘরে ফেনের ইনজুরি কাটিয়ে খেলায় ফেরা চট্টগ্রামের নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেটে চাদউইক ওয়ালটনকে সঙ্গে নিয়ে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২৬ বলে অপরাজিত ৪০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ইমরুল কায়েস।
এই জুটিতেই চলতি বিপিএলের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন তিনি। এর আগে ৬১, ৬২ ও ৫৪ রানের ইনিংস খেলা কায়েস মঙ্গলবার ৪১ বলে ৫টি ছক্কা আর তিনটি চারের সাহায্যে অপরাজিত ৬৭ রান করেন ইমরুল কায়েস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজশাহী রয়েলস: ২০ ওভারে ১৬৬/৮ (লিটন ৫৬, শোয়েব মালিক ২৮, ফরহাদ রেজা ২১, আন্দ্রে রাসেল ২০; জিয়াউর রহমান ৩/১৮, রুবেল হোসেন ৩/২০)।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৮.৩ ওভারে ১৭০/৩ (ইমরুল ৬৭*, সিমন্স ৫১, গেইল ২৩, মাহমুদউল্লাহ ১০, ওয়ালটন ১৪*)।
ফল: চট্টগ্রাম ৭ উইকেটে জয়ী।
Leave a reply