ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। এক বিবৃতিতে তারা এই হত্যাকাণ্ডকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা বলছে, জেনারেল সোলেইমানির মৃত্যু ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপে হয়েছে যা জিহাদিদের সুবিধা এনে দেবে।
আইএসের সাপ্তাহিক সংবাদপত্র আল-নাবায় একটি সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, সোলেইমানি এবং আল-মুহান্দিস তাদের মিত্রদের হাতে নিহত হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানো হচ্ছে।
এটা বলছে, আইএসের শত্রুরা একে অপরের সঙ্গে লড়াই করছে, যা তাদের শক্তি এবং সম্পদের ক্ষয় করবে, শেষে লাভবান হবে জিহাদিরাই।
কিছুদিন আগেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান তাদের সামরিক শক্তি ব্যয় করেছে আইএসকে দমনের উদ্দেশ্যে। কিন্তু সম্প্রতি সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। ফলে বন্ধ রয়েছে আইএস অভিযান। ইরাকের পার্লামেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের সৈনিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এতেও সুবিধা হয়েছে আইএসের। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ইরাকি সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতো। সেটি তারা বন্ধ করেছে। এই প্রশিক্ষিত সৈনিকরা আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতো।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র শক্তিগুলোও ইরাক থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে। জার্মানি তাদের সৈন্য ও প্রশিক্ষকদের জর্ডান ও কুয়েতে সরিয়ে নিচ্ছে।
২০০৪ সালে আইএসের উত্থানের সময় ইরান সমর্থিত শিয়া গোষ্ঠীগুলো সশস্ত্র অবস্থায় তাদের দমন করার জন্য প্র্রশিক্ষণ নেয়। যেগুলো পরবর্তী সময়ে মিলিশিয়া গোষ্ঠী নামে পরিচিত। সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের পর তারাও আইএসের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা করার জন্য শপথ নেয়। এতে লাভবান হবে আইএসই। এককথায় চরম বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রয়েছে ইরাকসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্য।
ইতিহাসে দেখা গেছে, জিহাদি চরমপন্থিরা তখনি সবচেয়ে বেশি উন্নতি করে যখন তারা অস্থিরতা, বিশৃঙ্খলা, দুর্বলতা এবং বিভক্ত শত্রুর সুবিধা পায়। অতীতে ঘটেছে এবং আবারো সেটা ঘটার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
Leave a reply