মার্কিন লক্ষ্যবস্তু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করতে গিয়ে ভুলবশত একটি যাত্রীবাহী বিমানকে আঘাত করে ভূপাতিত করার ঘটনায় ১৭৬ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন গত সপ্তাহে। এ ঘটনার পর অনেক লুকোচুরি করে অবশেষে ইরানের সেনাবাহিনী ঘটনার জন্য নিজেদের দায় স্বীকার করেছে।
এতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তেহরানের সমালোচনা কিছুটা কমলেও বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ইরানকে। ইতোমধ্যে বিমানের মালিক দেশ ইউক্রেন এবং বিমানে থাকা বেশিরভাগ যাত্রীর দেশ কানাডা ঘটনায় জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।
শেষ পর্যন্ত অবশ্যই ইরানকে বড় ধরনের ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। এমনিতেই অর্থনৈতিক চরম মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। দেশে বেকারত্বের হার মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
তার সাথে যুক্ত হয়েছে গত এক সপ্তাহে নতুন নতুন মার্কিন অবরোধ। ইরাকে মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পর ভয়াবহ সব নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওয়াশিংটন।
এসবের মধ্যে আবার এত বিরাট সংখ্যক যাত্রী ও বিমান কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরণ দেয়া আয়াতুল্লাহ খামেনির দেশের পক্ষে মোটেও ছোট বিষয় নয়। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিকে সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন প্রতিবেশি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট অনলাইন এক প্রতিবেদনে নাম প্রকাশ না করা কয়েকটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, রোববার ইরান সফর করা কাতারি আমির তেহরানকে ৩ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন; যা থেকে বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া যাবে।
তবে মধ্যপ্রাচ্যের বা পশ্চিমা কোনো উল্লেখযোগ্য সংবাদমাধ্যম এমন কোনো খবর দেয়নি। এছাড়া তামিমের সফর বিষয়ে ইরানি ও কাতারি সংবাদমাধ্যমে দুই দেশের নেতাদের বরাতে খবর প্রকাশিত হলেও তাদের কেউই এমন তথ্য জানাননি।
ইরান ও প্রতিবেশি কাতারের মধ্যে সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্রটির এই দুইদেশ যৌথভাবে মালিক। ইরানের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখার কারণে ২০১৭ সালে প্রতিবেশি সৌদি আরব ও তার মিত্রদের অবরোধের মুখে পড়ে কাতার।
Leave a reply