মোহাম্মদ আমিরের বোলিং নৈপুণ্যে রাজশাহীর বিপক্ষে ২৭ রানের দাপুটে জয় পেয়েছে খুলনা টাইগার্স।
বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে এ জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করল মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন খুলনা।
এ দিকে রাজশাহী হেরে গেলেও তাদের সামনে আরও একটি সুযোগ আছে। আগামী বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারাতে পারলে ফাইনালে খেলার সুযোগ পাবে রাজশাহী রয়েলস।
সোমবার সন্ধ্যায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫ রানে মেহেদী হাসান মিরাজ ও রাইলি রুশোর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় খুলনা।
তৃতীয় উইকেটে শামসুর রহমান শুভর সঙ্গে ৭৮ রানের জুটি গড়ে দলকে খেলায় ফেরান অন্য ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩১ বলে ৩২ রান করে ফেরেন শামসু।
এরপর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৪২ রানের জুটি গড়েন শান্ত। রিটায়ার্ডহার্ট হয়ে ফেরার আগে ১৬ বলে ২১ রান করেন মুশফিক। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা নজিবুল্লাহ জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে ২৩ রানের জুটি গড়েন শান্ত।
নিংসের শুরু থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে ৫৭ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন শান্ত। তার ফিফটিতে ৩ উইকেটে ১৫৮ রান করে খুলনা টাইগার্স।
ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে ১৫৯ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩৩ রানে প্রথম সারির ৬ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় রাজশাহী রয়েলস।
ইনিংসের শুরুতেই রাজশাহী শিবিরে একে একে তিনটি আঘাত হানেন খুলনার পাকিস্তান সেরা পেসার মোহাম্মদ আমির। তার গতির বলে ইনিংসের তৃতীয় বলেই স্ট্যাম্প ভেঙে যায় রাজশাহীর ওপেনার লিটন কুমার দাসের।
দলীয় ২২ রানে আমিরের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন অন্য ওপেনার আফিফ হোসেন। রানের খাতা খুলার আগেই আমিরের বলে শামসুর রহমান শুভর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অলক কাপালি।
আমিরের পর রাজশাহী শিবিরে আঘাত হানেন রবি ফ্রাঙ্কলিঙ্ক। তার বলে রাইলি রুশোর দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন রাজশাহীর ইংলিশ ব্যাটসম্যান রবি বোপারা। দলের এমন কঠিন বিপর্যয়ের দিনে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল।
ইনিংসের ষষ্ঠ এবং আমির নিজের ব্যক্তিগত চতুর্থ ও শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আন্দ্রে রাসেলকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। ঠিক পরের বলে ক্যাচ তুলে দেন নতুন ব্যাটসম্যান ফরহাদ রেজা। কিন্তু খুলনার তরুণ বোলার শহিদুল ইসলাম ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন আমির।
এরপর দলীয় অষ্টম ওভারে রাজশাহী শিবিরে আঘাত হানেন শহিদুল ইসলাম। তার বলে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ফরহাদ রেজা। তার বিদায়ে ৩৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় রাজশাহী।
টেইলেন্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন রাজশাহীর পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। দলের পরাজয়ের ম্যাচে ৪০ বলে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন মালিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইগার্স: ২০ ওভারে ১৫৮/৩ (শান্ত ৭৮*, শামসু ৩২, মুশফিক ২১, নজিবুল্লাহ ১২)।
রাজশাহী রয়েলস: ২০ ওভারে ১৩১/১০ ( শোয়েব মালিক ৮০, তাইজুল ১২, আবু জায়েদ রাহী ১১, আফিফ ১১; আমির ৬/১৭, মিরাজ ২/৬)।
ফল: খুলনা টাইগার্স ২৭ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: মোহাম্মদ আমির (খুলনা টাইগার্স)।
Leave a reply